প্রকাশিত: ২৮/০৩/২০১৮ ৯:৫৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫৩ এএম

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::
টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ মার্চ বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান এর সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি।

বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন বড়ুয়া।
সভার শুরুতেই টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, হ্নীলা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন, টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিয়া, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন, সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জহির হোসেন এমএ, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি আবুল কালাম, টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ইয়াবা পাচার কমাতে টেকনাফ উপজেলার প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গসহ সবাইকে আন্তরিক ও দেশ প্রেমিক হিসাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এলাকায় মাদক কারবারে সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে এবং তাদের চিহ্নিত করে ও সঠিক তথ্য দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের সহযোগীতা করতে হবে। উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওসি রনজিত বড়ুয়া অভিযোগ করে বলেন,টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য ইয়াবা পাচার কাজে সক্রিয় ভাবে জড়িত। তাদেরকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা প্রয়োজন,এই সমস্ত মুখোশদারী ইউপি সদস্যদের আইনের আওতাই নিয়ে আসতে পারলে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে আমরা আরো বেশী ভুমিকা রাখতে পারবো। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহাম্মদ চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্য করে বলেন,যে সমস্ত ইউপি সদস্য ইয়াবা পাচারে জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করে পরিষদ থেকে বয়কট এবং সতর্ক করুন। তাপরও যদি তারা ভাল পথে ফিরে না আসে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ আব্দুর রহমান বদি বলেন, মাদক পাচার প্রতিরোধে দলবল নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,পাশাপাশি সীমান্ত লক্ষ লক্ষ মালিক বিহীন ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীদের পলাতক আসামী করার আহবান করেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, সঠিক ইয়াবা কারবারীদের চিহ্নিত করে পুনরায় তালিকা তৈরী করুন,কারন বর্তমানে প্রতিনিয়ত ইয়াবা পাচারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন টেকনাফ উপজেলায় সাংবাদিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, কিছু সংবাদ কর্মি ইয়াবা পাচারকারীদের সহযোগীতাকারী,কিছু সংবাদ কর্মি ইয়াবা পাচার বানিজ্যে সক্রিয় ভাবে জড়িত। এরা কারা তাদের চলাচলের প্রতি দৃষ্টি রাখুন। নিরপরাধ মানুষকে যেন মাদক পাচারের সাথে জড়ানো না হয় সেদিকেও নজর রাখুন, তার পাশাপাশি এলাকায় যে সমস্ত অপরাধীরা আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নষ্ট করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত করবে তাদেরকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিন।

তিনি আরো বলেন, চিহ্নিত ইয়াবা ব্যাবসায়ীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে, সেই অস্ত্রধারী ইয়াবা পাচারকারীদের আইনের আওতাই নিয়ে আসতে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি কঠোর আহবান জানান।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, স্থানীয় মিডিয়া কর্মী এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্যরা।

পাঠকের মতামত