প্রকাশিত: ১৬/০৩/২০২০ ৯:১২ পিএম

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে কানাডিয়ানদের অর্থনৈতিক দৈন্য-দশায় পড়তে দেবেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, কানাডার জনগণের নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। সব সরকার দেখবে।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিনিউজ১১৩০ এর খবরে বলা হয়েছে, কানাডায় এখনও পর্যন্ত ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরে এখনো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোফি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।

ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এই প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।

শুক্রবার ট্রুডো বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ি ভাড়া, মুদি কেনাকাটা বা শিশুদের অতিরিক্ত সেবায় অর্থ খরচ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত আছেন। আমি জানি, (করোনার কারণে) বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে আপনারা অনিশ্চয়তায় আছেন। আপনাদের নিরাপদ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটা সত্য যে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে অবস্থানে আছি তা আপনাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট। আমরা মানি যে, আমাদের আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা চাই না কোনো কানাডিয়ান বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, বাজার-ঘাট করতে পারবেন কি-না, বা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করতে পারবেন কি-না, এটা নিয়ে চিন্তা করুক।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

এখন পর্যন্ত ১৫৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছে ৩ হাজার ২১৩ জন।

চীনের পর করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৮০৯ জন। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯০।

এরপরেই রয়েছে ইরান। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৮ এবং মৃতের সংখ্যা ৭২৪। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ২৩৬ এবং মৃতের সংখ্যা ৭৫।

স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪৫ এবং মৃতের সংখ্যা ২৯২। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৩ এবং মারা গেছে ১১ জন।

ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪২৩ এবং মারা গেছে ১২৭ জন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৩ জন এবং মারা গেছে ৬৯ জন।

মালয়েশিয়ায় এই ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ১৯০। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে কাতারে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০১, সৌদি আরবে ১১৮, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ এবং মারা গেছে ২ জন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮। ওমানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ এবং মারা গেছে ২ জন। অপরদিকে, বাংলাদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮।

পাঠকের মতামত

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিসহ তিনটি শর্ত হামাসের

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত করতে ...