প্রকাশিত: ০৮/০৫/২০১৮ ৮:১৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:১০ এএম

চকরিয়া প্রতিনিধি : র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব-৭) কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি দল চকরিয়ার মানিকপুরের রাখাইন পল্লীতে মাদক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। চকরিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.খোন্দাকার ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের নেতৃত্বে অভিযানে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি চোলাই মদ তৈরির কারখানার সন্ধান পায়।

এসব কারখানা থেকে ৫ হাজার লিটার চোলাই মদ ও ৯৫ হাজার কেজি মদ তৈরির উপাদান জব্দ করা হয়। এসময় মেমং রাখাইন (৬৪) নামের একজনকে আটক করে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকপুর রাখাইন পাড়ায় এ অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও অভিযানে র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন নেতৃত্ব দেন।   এসময় তাদের সাথে ছিলেন-সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, ভুমি অফিসের সহকারী তপন কান্তি পাল প্রমুখ।

র‌্যাবের অভিযান চলাকালে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৬টি ঘরের ভেতরে বাইরে মাছাঙ্গ তৈরী করে ভাত পঁচাসহ ৯-১০ প্রকারের উপাদান দিয়ে চোলাই মদ তৈরির দৃশ্য। সেখানে মদ মজুদের অভিনব পন্থাও আবিস্কৃত হয়। ঘরের ভেতরে ও উঠানে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে প্লাস্টিকের ড্রামে ভর্তি করে মদ রাখা হয়। কয়েকটি বাড়িতে মাটির নিচে পুতে রাখা মদের উপরে কৌশলে মাটি চাপা দিয়ে হলুদসহ বিভিন্ন চাষাবাদ করা হয়েছে।

এ পল্লীতে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা চোলাই মদ চকরিয়াসহ নিকটবর্তী কয়েকটি উপজেলায় বাঙ্গালীরা পাচার করে আসছে বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়।
র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকপুরের রাখাইন পল্লীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বেশ কয়েকটি ঘরের ভেতরে বাইরে চোলাই মদ তৈরির ৬টি কারাখানার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে জব্দ করা হয় ৫ হাজার লিটার তৈরী করা চোলাই মদ ও ৯৫ হাজার কেজি মদ তৈরির উপাদান।

তিনি আরো বলেন, জব্দ করা মদ ও উপাদান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত