
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কক্সবাজারের ছয়টি উপজেলার ৩ লাখ ৭৫ হাজার হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা করবে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
সোমবার ডব্লিউএফপি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যৌথভাবে ‘স্থানীয় জনগণের জন্য বিশেষ সহায়তা কার্যক্রম’ উদ্বোধন করে।
এসময় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ডব্লিউএফপি ও তার সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তারা এই অনলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জানা যায়, মার্চের শেষ দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনুরোধে ডব্লিউএফপি স্পেশাল সাপোর্ট ফর দা হোস্ট কমিউনিটি (এসএসএইচসি) কার্যক্রমের উদ্বোধন করে। যা কক্সবাজার জেলার কোভিড-১৯ কবলিত প্রায় পাঁচ লাখেরও অধিক মানুষকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। কার্যক্রমটি জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল। যা সরকারের বিদ্যমান সামাজিক সহায়তা কার্যক্রমের পরিপূরক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে।
কার্যক্রমটির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে উখিয়া এবং টেকনাফের ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই ধাপের সফল বাস্তবায়নের পর ডব্লিউএফপি অন্য আরও ছয়টি উপজেলার ৩,৭৫,০০০ মানুষের জন্য জুন মাস জুড়ে এই সহায়তা কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে।
যে এলাকাগুলো এই সহায়তা কার্যক্রমের অধীনে পড়বে তা হল- মহেশখালী, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর এবং রামু। যেখানে ডব্লিউএফপি বর্তমান সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বহির্ভূত অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘যখন ভাইরাসের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা হুমকির মুখে, ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকার তাঁদের জন্য কার্যকরী সহায়তা প্রদানে অত্যন্ত তৎপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে আমরা ডব্লিউএফপিকে আমাদের সাথে পেয়েছি এই কার্যক্রমটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য।’
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এক মহামারী যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য, সমাজ, এবং অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ডব্লিউএফপিতে আমরা প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আমরা আশা করি যে আমাদের এই সহায়তা কক্সবাজারের মানুষকে এই মহামারীর সময়ে সাহায্য করবে।’
কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের সকল উদ্যোগে ডব্লিউএফপি তার সহায়তা চালু রাখবে।
পাঠকের মতামত