ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৮/২০২৪ ১০:৪৭ এএম , আপডেট: ১৮/০৮/২০২৪ ১০:৪৮ এএম

এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার
পছন্দের লোকদের ভালো জায়গায় পোস্টিংসহ সবকিছুতেই সিন্ডিকেট তৈরি রেখেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। যার কারণে, জুনিয়র কর্মকর্তাদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ভেতরের খবর, অনেকটা ‘তুষের আগুন’ জ্বলার মতো ক্ষোভ বঞ্চিতদের মাঝে।

 

ক্সবাজারে পুলিশে অসন্তোষ, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

 

দীর্ঘ দিন ধরে কাজের অমূল্যায়ন, পছন্দের লোকদের পদায়নসহ নানা অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের অনুগত না হলে মা-বাবা ধরে গালমন্দ করা হত। অনৈতিক নির্দেশ না মানলে বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে হেনস্থা করা হতো। অনেকটা নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের কব্জায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের সব কার্যক্রম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এই সিন্ডিকেট ভাঙতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলছিল বঞ্চিত পুলিশ সদস্যরা। তবে এতে কোনো ধরনের সুরাহা হয়নি।

অনুসন্ধান বলছে, এই সিন্ডিকেটের বলয়ের লোক হওয়ায় বদলির পরও কক্সবাজারে বহাল তবিয়তে আছেন কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির। একটি বাহিনীর প্রধানের সুপারিশে বদলি হলেও ‌পাহাড়ে যেতে হয়নি তাকে। অন্য একজন পুলিশ পরিদর্শকের বদলির দুই বছরেও কক্সবাজারে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওসি গোলাম কবির দাবি করেন পূর্বের আদেশটি বাতিল করে তাকে নতুন করে কুতুবদিয়ায় পোস্টিং দেয়া হয়েছে। তবে তার দাবি মতে নতুন অর্ডারের কাগজটি অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে এমপি-মন্ত্রীদের সুপারিশে পোস্টিং পাওয়া ওসিরা। এর মধ্যে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত ভট্টাচার্য আ. জ. ম. নাসির উদ্দিনের অনুসারী। নাসিরের আশীর্বাদেই মহেশখালী থানায় পোস্টিং হয় সুকান্তর।

একইভাবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত মো. রকিবুজ্জামান সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান (সদস্য অবসরপ্রাপ্ত) সিন্ডিকেটের লোক। গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হওয়ায় তার হাত অনেক লম্বা। এমনকি তিনি পোস্টিং বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার আশীর্বাদে পেকুয়া থানায় পোস্টিং পান মোহাম্মদ ইলিয়াস। এছাড়া শেখ হেলাল উদ্দিনের আর্শীবাদে রামু থানায় রয়েছেন ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ানসহ অনেকেই।

অভিযোগ রয়েছে কক্সবাজারে বিভিন্ন ফাঁড়ি ও থানায় পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) এর বলয়ের লোকজন রয়েছে। তাদের অনুগত না হওয়ার কারণে কক্সবাজার জেলা পুলিশে যোগদান করেও পোস্টিং না পেয়ে চলে গেছে অনেকেই। এমনকি কয়েকজন পুলিশ পরিদর্শকের বিষয়ে বিএনপি -জামায়াতের লোক আখ্যা দিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদনও দিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বর্তমান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদকে তার কার্যক্রমে দূর্বলতা, প্রশাসনিক কাজে অদক্ষতা সহ নানা অভিযোগে চকরিয়া থানা থেকে তিন মাস ১৬ দিনের মাথায় প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার আদেশের বিধিমতে তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নিয়ম থাকলেও বলয়ের আর্শীবাদে নিয়ম ভঙ্গ করে তাকে ডিবির মতো গুরুত্বপূর্ণ শাখায় পদায়ন করা হয়েছে। তার ছায়া হিসাবেও ছিল আ.জ. ম. নাছির উদ্দিন।

এদিকে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগে টিআই (প্রশাসন) পদায়নে। এসপির আর্শীবাদপুষ্ট হওয়ায় তিনজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) তুহিন আহমেদকে অঘোষিতভাবে টিআই প্রশাসনে পদায়ন করা হয়েছে। তবে নিয়ম ভঙ্গ করে তুহিনকে পদায়ন করা হলেও অফিসিয়াল কোন কাগজ তাকে দেয়া হয়নি। সকল সিনিয়র, জুনিয়রদের উপস্থিতিতে পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) পদে তাকে পদায়ন করেন এসপি। দীর্ঘ দিন ধরে এসপির আর্শীবাদে টিআই তুহিন আহমেদ কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগকে জিম্মি করে রেখেছেন। অতিমাত্রায় ঘুষ বাণিজ্যের কারণে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা ট্রাফিক অফিসে অগ্নিসংযোগ করে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় তার কক্ষটি যেন অঘোষিত টর্চার সেল। পুলিশ পরিদর্শক থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত তার এই টর্চারসেলে ঘন্টার পর ঘন্টা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

শুধু তাই নয়, কথা কথায় বিএনপি-জামায়াতের তকমা, মা-বাবা ধরে গালমন্দ তার নিত্যদিনের ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি থানায় তার নিয়োগকৃত দালাল (পুলিশ) রয়েছে। তাদের মাধ্যমে নানা খবর সংগ্রহ করে পরিদর্শক থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের মানসিক জালে ফেলে অর্থ আদায় করেন তিনি। তার এসব ঘটনা বণর্না দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। অভিযোগকারীরা নাম না বলার শর্তে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।

ভুক্তভোগীদের দাবি, এই সিন্ডিকেটের নানা অনিয়মের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ভয়ে ‘অজ্ঞাত’ অভিযোগ দেয়ার পরও কোন কাজ হয়নি। কারণ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেটটি অতিরিক্ত আইজিপি সাবেক এসবি প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলামের আস্থাভাজন ছিল। যার কারণে অভিযোগ দেয়ার পরও কোন কাজ হয়নি।

অনুসন্ধান মতে, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সিকিউরিটি সেলের একটি টিম বিষয়টি তদন্ত করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।

এমন অভিযোগ উঠেছে, কোন পুলিশ সদস্যের উপর ক্ষিপ্ত হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ ওই থানা এলাকার টাউট টাইপের কোন লোকজনকে দিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করান। পরে ওই কর্মকর্তাকে ডেকে এনে মানসিক টর্চার করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে শাকিল সাধারণ মানুষের কাছে ভালো অফিসার হিসাবে পরিচিত।

সূত্র বলছে, পদায়নের আগে পুলিশ সুপারের নিকট হাজির হওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) মো. রফিকুল ইসলামের কছে হাজির হতে হয়। তিনি বিভিন্ন প্রশ্ন করে নামের পাশে স্টার মার্ক দিয়ে এসপির নিকট পাঠান। অনেক সময় এসপি আবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাকিল আহমেদ এর নিকট পাঠান। এভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় পুলিশ সদস্যদের। দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ইঙ্গিত পেলেই পদায়ন করেন এসপি।

কনস্টেবল পদায়নের দায়িত্ব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) মো. রফিকুল ইসলামের। তাকে নিয়েও রয়েছে মাঠে নানা কথা। কক্সবাজার শহরের আলোচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে রফিক তার বদলি বাণিজ্য সহ নানা কাজ করে থাকেন। ওই ব্যক্তি এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলামকে তার বন্ধু, ব্যবসায়িক পার্টনার বলে দাবি করেন। তাকে প্রায় সময় তার কক্ষে বসে থাকতে দেখা যেত।

অভিযোগে প্রকাশ, এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলাম আস্থাভাজন লোক দিয়ে পুলিশের অভ্যন্তরীন টেন্ডার কাজ নিয়ে নিজেই কাজ করান এবং ভাগ নেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকদের বিরোধীয় জায়গা বায়না করে পরে চড়া দামে বিক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে। তার বিভিন্ন অনুসারী দিয়ে হোটেল-মোটেল জোন থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের অভ্যন্তরীন ক্রয় কমিটিও নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন রফিক। রামু থানার সীমান্তবর্তী এলাকা গর্জনিয়া থেকেও এসপি অফিসের নামে মোটা অংকের টাকা আসে।

এছাড়া কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম শাকিল হাসান এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলামের আশকারায় বেপরোয়া। তার বিরুদ্ধে মামলা, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা নিয়েও বাণিজ্যের শেষ নেই। গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের দিন বিক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী লোকজন তাকে হন্য হয়ে খুঁজে। ওই রাত হতে শাকিল জনরোষ থেকে বাঁচতে আত্নগোপনে রয়েছে। গত মঙ্গলবার পুলিশের অভ্যান্তরীন গ্রুপে সহকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন। এছাড়া তাকে রাঙ্গামাটি বদলির একটি গুঞ্জনও উঠেছে। ইতোমধ্যে শাকিল হাসান আদায়কৃত ঘুষ ফেরত দেয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান শাকিল হাসান এক সপ্তাহের ছুটিতে রয়েছেন বলে দাবি করেন। অভিযুক্ত পরিদর্শক শাকিলের সরকারি ও ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। পরে প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপ এ ‘আমার মাথায় অপারেশন হয়েছে। হাসপাতালে আছি, ক্লিয়ার কথা বলতে পারছি না। বলে একটি বার্তা দেন।

অন্যদিকে সিন্ডিকেট বলয়ের বাহিরের লোক হওয়ায় থানায় ওসি হিসেবে কর্মকালীন সম্পন্ন করা পুলিশ পরিদর্শককে ফাঁড়িতে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। যোগ্যতা সম্পন্ন পুলিশ পরিদর্শক থাকার পরও ১২ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান এলাকা উখিয়া থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে একজন ‘প্রমোটেট’ পরিদর্শককে। উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের কারণে এনজিও, আইএনজিও’র লোকজন ছাড়াও উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছে। উখিয়া থানায় পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) আচরণ নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ।

অভিযোগ উঠেছে, এসপির আশকারায় বেপরোয়া কক্সবাজার সদর কোর্টের জিআরও আনিসুর রহমান। তার বিরুদ্ধে মামলার নথি বাণিজ্য সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসপির কাছের লোক হওয়ায় একবার সাক্ষী দিতে গেলে অফিসিয়াল ছুটি ছাড়া অনেকদিন অনুপস্থিত থাকেন তিনি। অনেকটা কোর্ট পুলিশের অন্য সিনিয়রাও তার কাছে জিম্মি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পুলিশ সুপার অনেকটা ধর্মবিদ্বেষী। জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কোরআন তেলোয়াতও বন্ধ করে দিয়েছে। নামাজ-রোজা রাখে এ রকম লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেন।

কক্সবাজার পুলিশ লাইনসের খাবারের মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যদর মাঝে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল। বিষয়টি পুলিশ সুপার বরাবরে একাধিকবার নজরে আনলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি তার হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিবেদকের পরিচয় নিশ্চিত করে এসএমএস করার পরও কোন সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারে চার বছর সুনামের সাথে চাকরি করেছি। নানা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনার (প্রতিবেদকের) উল্লেখিত বিষয়গুলো কানে এসেছে। তবে যাওয়ার আগে সামনে আসা প্রশ্নগুলো নিয়ে বিব্রত। আমার দাবি থাকবে বিষয়গুলো অনুসন্ধান করেন। ক্লু লাগলে দিব।

পুলিশ পরিদর্শক এসএম শাকিল হাসানের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আশকারা দেয়ার কিছুই নেই। তবে যাওয়ার আগেই শুনছি, সে বেপরোয়া ছিল। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তাকে রাঙ্গামাটি বদলি করার অর্ডারটি দেখেছি।

যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম ‘সংবাদে উপস্থাপিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নানা যুক্তি উপস্থাপন করে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন। কোনো প্রশ্ন এড়িয়ে যাননি তিনি।

টিআই তুহিনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের টিআই (আমজাদ হোসেন) বদলি জনিত কারণে যাওয়ার পর সকলের মতামতের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) তুহিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যদি কোন অনিয়ম, দূর্নীতির প্রমাণ মিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস্) শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে পুলিশ এমনিতেই মনোবল হারিয়েছে। সকল পেশায় ভালো খারাপ আছে। সব মিলিয়ে সকলের উচিত এই ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের পাশে থাকা

পাঠকের মতামত

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এখন কক্সবাজার দুদকের উপ-পরিচালক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ...

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...