প্রকাশিত: ১২/০৮/২০২০ ৪:৫৩ পিএম

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের বহুল আলোচিত আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরো একটি হত্যা মামলা আনা হয়েছে। তবে বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন ফৌজদারি দরখাস্তটি আমলে নিতে অপারগতা জানিয়ে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট রয়েছে।

আজ বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)।
স্থানীয় আইনজীবী হামিদুল হক এবিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, মামলায় তৎকালীন ওসি প্রদীপ ছাড়াও পুলিশের আরো ৫ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম এবং এএসআই আজিম উদ্দিন।

ফৌজদারি দরখাস্তে ২৯ আসামির মধ্যে প্রধান আসামী হিসেবে রয়েছেন ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস (৫৬)। তিনি মহেশখালী দ্বীপের হোয়ানক নামক এলাকার বাসিন্দা।

হত্যা মামলার বাদী হামিদা আক্তার জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে প্রতিপক্ষ ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তাঁর স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। পুলিশ দাবি করেছে, নিহত আব্দুস সাত্তার অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সেই সময় থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন উচ্চ আদালত। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানান হামিদা আক্তার।

সুত্র: কালের কন্ঠ

পাঠকের মতামত