ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৮/০৪/২০২৪ ৯:৪৩ এএম
ঘূর্ণিঝড় মোখায় উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং করছেন ইয়াসিন, সঙ্গে হাসিঘর ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

ঘূর্ণিঝড় মোখায় উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং করছেন ইয়াসিন, সঙ্গে হাসিঘর ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।t
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলুদিয়া পালং ইউনিয়নের সন্তান মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার। তাঁর বাবা মাহমুদুল হক সিকদার একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, মা মোহছেনা আক্তার শিক্ষিকা। ২০২৩ সালে রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ইয়াসিন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় আছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ইয়াসিন অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ করেন।

সমাজসেবা ও গণসচেতনতা নিয়ে কাজ করার জন্য ইয়াসিন প্রতিষ্ঠা করেন হাসিঘর ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন। এর কাজের তালিকায় রয়েছে অসহায় রোগাক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া, মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের ব্যবস্থা করা, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং করা ও মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করা, শীতবস্ত্র বিতরণ, এতিম শিশুদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ, ঈদের সময় এতিম শিশুদের উপহার বিতরণ।

করোনাকালে এ সংগঠনের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। তখন স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, করোনা টিকাদান কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণের মতো কাজ করে আলোচনায় এসেছিল হাসিঘর ফাউন্ডেশন।

ছোটবেলা থেকেই পথশিশু, ভবঘুরে, পাগল, অসহায় মানুষের প্রতি আলাদা একটা মায়া কাজ করত ইয়াসিন সিকদারের। তাদের জন্য কিছু করতে চাইতেন সব সময়। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় করোনার প্রকোপ শুরু হয় দেশে। সেই অলস সময়ে তিনি ঠিক করেন, বসে না থেকে মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। সে সময় প্রতিষ্ঠা করেন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। এ কাজে তাঁর বন্ধুসহ ছোট-বড় অনেকে যুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এই মানুষগুলোর মধ্যে তাঁর বড় ভাই মোহাম্মদ শাকিল সিকদার অন্যতম।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করা দরকার বলে মনে করেন ইয়াসিন সিকদার।

পাঠকের মতামত

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...

মিয়ানমারে সশস্ত্র লড়াই: আরাকান আর্মির কাছে গুরুত্বহীন রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে নিজেদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায় এবং রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ...