
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বরিশালের হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু জাফর রাশেদের হস্তক্ষেপে গত ১১ মাসে ২৮টি বাল্যবিয়ে ভণ্ডুল হয়ে গেছে।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্তের ঘটনায় অসংখ্য বখাটেকে আটক ও তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। তার সক্রিয় তৎপরতায় স্কুল কলেজগুলোতে অনেকটা নির্ভয়ে আসা-যাওয়া করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর উপজেলার সংহতি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে রুখে দেন এবং ওই ছাত্রীর লেখা পড়ার দায়িত্ব নেন ইউএনও আবু জাফর রাশেদ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী, মাউলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ও বিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ৩ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। এভাবে গত ১১ মাসে ২৮টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পরপরই মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়েসহ সামাজিক নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ইউএনও। অনাকাঙ্ক্ষিত সামাজিক অপকর্ম রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু জাফর রাশেদ জানান, হিজলার দেড় লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জেলে। তাদের উপার্জন ক্ষমতাও কম।
এছাড়া বিশাল একটি শ্রেণির মানুষ দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করে সংসার চালাচ্ছেন। একদিকে অর্থ এবং অন্যদিকে সচেতনতার অভাব রয়েছে তাদের। অভাবের কারণে স্কুলে লেখাপড়ার সময় তাদের কন্যা সন্তানদের বিয়ে দিচ্ছেন।
বাল্যবিয়ে রোধে এবং এর কুফল জানিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে উপজেলা প্রশাসন। যখনই কোনো বাল্যবিয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে তা বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ইউএনও আবু জাফর রাশেদ।
পাঠকের মতামত