ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/০৮/২০২৪ ১০:১৮ পিএম

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সারা দেশে বাহিনীটির থানা ও ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরকার বা আওয়ামী ঘেঁষা কেউ আটক হন কেউবা আত্মগোপনে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন ও সংস্কারের দাবি যখন সবখানে তখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ট্রাফিক পুলিশ শূন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে ছাত্র-জনতা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ছাত্র-জনতা। সরকার পতনের পর আজ রোববার (১১ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি যানবাহন সড়কে নেমেছে। খুলেছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, কলকারখানা। তাই সকাল থেকে দিনভর সড়কে ছিল তীব্র যানজট। বেসামাল পরিস্থিতিতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় পোশাকে ট্রাফিক ব্যবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে ট্রাফিক বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংকটময় মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশ শূন্য নগরীতে ছাত্র প্রতিনিধি, সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসিসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করা সব পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিনভর যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ করে সোমবার থেকে পুরোদমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল থেকে তীব্র যানজট দেখা দেয়। অফিসগামী ও অফিস ছুটির সময়ে সে চাপ সড়কে বেসামাল পরিস্থিতি তৈরি করে। বৃষ্টির কারণে সড়কে চরম জনভোগান্তি দেখা দেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও, উড়োজাহাজ ক্রসিং, বিজয় সরণি সিগন্যাল, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মিন্টো রোড, পুরো রমনার অলিগলি, কাকরাইল, মৎস্য ভবন এলাকা, প্রেস ক্লাব, পল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজট, কোথাও গাড়ির চাপ স্পষ্ট। ট্রাফিক সিগনালে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের দেখা গেলেও সড়ক ছিল বেসামাল।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেনবলেন, দেশের পরিস্থিতি সবার জানা। ট্রাফিকিং পুরোটাই ভেঙে পড়েছিল। অনেক পুলিশ সদস্য জীবনের নিরাপত্তাহীনতা থেকে পালিয়েছিলেন। তারা ফিরছেন। আমার বিভাগে শুরু থেকে ট্রাফিক সদস্যরা কাজে যোগ দিলেও নিরাপত্তার কারণে সড়কে ছিল না।

তিনি বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশে আজ গুলশানে তিনটি স্থানে পোশাকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। গুলশান-১, ২ ও কাকলী মোড়ে। এখানে ছাত্ররা আমাদের সহযোগিতা করছেন। সেনাবাহিনী ও বিজিবি সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় টহলে রয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান এসে এ কার্যক্রম সরেজমিনে দেখে গেছেন। কাল থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। এই কয়েকদিন ছাত্র-জনতা যেভাবে ট্রাফিকিংয়ের দায়িত্বটা সামলেছে সেজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, অনেকে যোগ দিয়েছে। অনেক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেননি। সবাইকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে করে সব জনবল কর্মস্থলে যোগ দেয়। আগামীকাল থেকে পুরোদমে ট্রাফিকের কাজে অংশ নিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আজ থেকেই চেষ্টাটা শুরু করেছি। কাল থেকে এটা পুরোপুরি কার্যকরের চেষ্টা করা হবে। গুলশান ও তেজগাঁওয়ে আমরা শুরু করেছি। উত্তরা ও রমনায় চেষ্টা করছি আজই শুরু করার। আশা করছি আগামীকাল থেকে সড়কে পোশাকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজে অংশ নেবেন।

বাঁধন/সিইচা/সাএqwe

পাঠকের মতামত

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা নিয়ে বেকায়দায় নির্বাচন কমিশন

মিয়ানমারে অত্যাচার-নির্যাতন ও উচ্ছেদের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার ও নোয়াখালীর কয়েকটি ক্যাম্পে ...

নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী: প্রেস সচিব

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ...

চট্টগ্রামে দুই কোটির চাঁদাবাজি, বৈছাআ নেতা নিজামের পদ স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ), চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের পদ ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে’ ...