সংবাদদাতা ::প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানবপাচার ও মাদক ব্যবসায়ীদের ছায়া উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষ। ১৭ অক্টোবর সোমবার দুপুর ১:৪৫ ঘটিকার সময় সেন্টমার্টিনবাসীর পক্ষে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার কামাল কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের রেফারেন্স কক্ষের ডিউটিরত পুলিশ সদস্যের কাছে এই অভিযোগ পত্র জমা দেন। এসময় সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে অনাস্থা জানিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীর ১০১ জনের গণস্বাক্ষর কপিও জমা দেওয়া হয়। অভিযোগ পত্রে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালামের নানা কুকর্মের চিত্র তুলে ধরেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাধারণ মানুষ। এতে দেখা যায়, সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুস সালাম মানবপাচার, মাদক ব্যবসায়ী ও অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্য হিসেবে কাজ করছেন। তার অবৈধ অপকর্মের মাত্রা এতই শোচনীয় যে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও ফাঁড়ীর পুলিশ সদস্যরাও তার কাছে জিম্মি। এতে আরোও উল্লেখ করা হয়েছে, ইতিমধ্যে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার সচেতন মহল মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। অভিযোগ পত্রে বলা হয়, জামাত শিবির অনুসারী আব্দুস সালাম বাংলাদেশ সরকারের আইন অমান্য করে তার অফিসে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির পরিবর্তে তার নিজের ছবি টাঙ্গাইয়া দেয়। এই নিয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সচেতন মহল প্রতিবাদ সমাবেশ করলেও তার কোন নড়ক নড়েনা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের যত অপরাধী আছে সালামের সাথে তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বলে জানান সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষ। চোরাচালানীদের দাপটে সে কারণে অকারণে সাধারণ মানুষের গায়ে হাত তুলেন। কেউ বাঁধা দিতে আসলে ক্রস ফায়ারের হুমকি দেয় বলে জানা যায়। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালামের চালচলন খুব রহস্যজনক। সে গোপনে জামাত বিএনপির সাথে আতাত করে সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষ তথা আওয়ামী পরিবারের লোকদের বেঁচে বেঁচে হয়রানি করছেন। আব্দুস সালাম জমির দালালদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে গরীব অসহায়দের জমি জোরপূর্বক দখল করে দালালদের বুঝিয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরোও জানান, সালামের সীমাহীন কুকর্মে এলাকাবাসী খুব ক্ষেপা যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে যার জন্য সালাম নিজেই দায়ী থাকবেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার কামাল বলেন, সালামের অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা ইতিপূর্বেও অনেক কর্মসূচি করেছি প্রয়োজনে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন করব। পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেছি। আমাদের বিশ্বাস পুলিশ সুপার এর সঠিক পদক্ষেপ নিবেন। আমার অসহায় এলাকায় কোন দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্তার স্থান হবেনা বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
অভিযোগ পত্রের শেষাংশে দেখা যায়, কথায় কথায় আব্দুস সালাম তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবেনা এবং তিনি কাউকে পরোয়া করেনা বলে হুমকি দেয় এমনটি জানা যায়। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালামের অপকর্ম থেকে দ্বীপবাসীকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানান স্থানীয়রা। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বটুলী সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক রোহিঙ্গা নারী ও ...
পাঠকের মতামত