
ডেস্ক রিপোর্ট ::
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ তৈরি করতে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করছে সরকার। উখিয়া ও টেকনাফের তিনটি কেন্দ্রে এই নিবন্ধনের কাজ চলছে। অভিযোগ আছে, রোহিঙ্গা পরিচয়ে বিদেশ যাওয়াসহ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করছে বাংলাদেশি স্থানীয়দের কেউ কেউ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এ অভিযোগ উঠে এসেছে। কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়িনের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. ফরহাদ পেশায় হাড়িপাতিল বিক্রেতা। স্থানীয় কক্সবাজারের বাসিন্দা হলেও সে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শীবিরে নিবন্ধন করেছেন রোহিঙ্গা হিসেবে। গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন তার বাবা-মা। সন্তানকে মানসিক ভারসাম্যহী বলে দাবি করছেন তার বাবা-মা।
নোঙ্গরের নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম রাশেদ বলেন, তারা মনে করছেন- রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধন করতে পারলে হয়তো অনেক সুযোগ সুবিধা পাবে। আর এখানে একটা প্রতারক সংগঠন মহলও কাজ করছে। সে সংগঠনগুলো তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে এ ধরনের কাজ করাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের যারা অর্ন্তভুক্ত হয়েছেন নিশ্চিত হবার পরে তাদের তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা।
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশি যারা এই ধরণের কাজ করেছে তাদের সে তথ্যগুলো সাথে সাথে মুছে ফেলা হয়েছে। আর এই ব্যাপারে আমাদের যে ভলান্টিয়ারা আছেন এবং যারা কম্পিউটার অপারেটর আছেন তাদেরকেও সজাগ থাকার কথা বলা হয়েছে। তার পরেও যদি কেউ এধরণের কাজ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরণের কাজ বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা জটিলতা তৈরি করতে পারে।
পাঠকের মতামত