কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের উদ্যোগে জেলার স্মরণকালের বৃহৎ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪জুন) কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন, কক্সবাজার-রামুর রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, জেলার বরণ্যে ব্যক্তিবর্গসহ হাজার হাজার মানুষ। স্মরণকালের বৃহৎ এ ইফতার আয়োজনকে ঘিরে পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে বসেছিলো রাজনৈতিক অঙ্গনের মানুষের অভূতপূর্ব মিলনমেলা।
ব্যতিক্রমী এ ইফতার মাহফিলের আয়োজক সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষ সেই উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। বর্তমানে চলমান সকল উন্নয়ন প্রকল্প যেন যথাসময়ে শেষ করা হয়। উন্নয়ন কাজে কোন গাফেলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে অলসতা করার কোন সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামীতে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে হবে। এ জন্য আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তা বিগত সাড়ে তিন বছরে হয়েছে। ৪৫ বছরে কক্সবাজার ও রামুতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিলো ২৮টি। সাড়ে তিন বছরে নতুন হয়েছে আরো ২০টি। ৪৫ বছরে কক্সবাজার সদরে পাকা সড়ক ছিলো ৫৭ কিলোমিটার। সাড়ে তিন বছরে নতুন হয়েছে আরো ৪১ কিলোমিটার। রামুতে ছিলো ৪২ কিলোমিটার। সাড়ে তিন বছরে হয়েছে আরো ৩৮ কিলোমিটার। দক্ষিন চট্টগ্রামরে মধ্যে বৃহৎ সেতুর বরাদ্ধ হয়েছে এখানেই। যা চাকমারকুলে নির্মানাধিন রয়েছে। কক্সবাজার-রামুর সব গ্রামেই নির্মিত হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিজেকে সব সময় উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিবেদিত রেখেছি। চেষ্টা করছি যেন কক্সবাজার-রামুর কোন এলাকা বা জনসাধারণ যেন উন্নয়ন কর্মকান্ডে পিছপা না হন।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নে সরকার ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, রেল লাইন অন্যতম। নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও সাড়ে তিন বছরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। রামুতে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০ জন নির্বাচিত হয়েছে। একজন বিএনপি থেকে নির্বাচিত হলেও তিনি এখন আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে আজকের ইফতার আয়োজনে শরীক হয়েছেন।
সাংসদ কমল আক্ষেপ করে বলেন, অনেকে বলেন কেন আমার পারিবারিক বিরোধ মিমাংসা হচ্ছে না। আমি ঐক্য করতে চাই। কিন্তু আমার পরিবারের কেউ এমপি, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে মরিয়া। কিন্তু তাদের জনপ্রিয়তা শুণ্যের কোটায়। তারা নির্বাচন করলে জামানত হারায়। তাই তাদের সাথে ঐক্য করলে সংগঠনের বেহাল দশা হবে।
মাহফিলে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন, দেশের বরণ্যে আলেমেদ্বীন আর্ন্তজাতিক মোবাল্লিগ মূফতি মাওলানা মুর্শিদুল আলম চৌধুরী।
মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগর সহ সভাপতি এডভোকেট আমজাদ হোসন, সাবেক সভাপতি এডভোকেট এ,কে আহমদ হোসেন, কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, জাতীয় পার্টি নেতা কামাল উদ্দিন, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম।
মাহফিলে অতিথিবৃন্দের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ারুল নাসের, এএসপি আফরুজুল হক টুটুল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগর সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিত, উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাংবাদিক এডভোকেট আয়াছুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজাহান, রামুর জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা হাফেজ আবদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন, রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, রামুর বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার ফরিদ আহমদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু, জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল জাহান চৌধুরী, শামসুল আলম চেয়ারম্যান, নুরুল হক কোম্পানী, তাহমিনা হক চৌধুরী লুনা, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, ইসলামবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুর সিদ্দিক, ঈদগাহ ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ভারয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান মুফিজ, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান তছলিম ইকবাল চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সাংবাদিক এমআর মাহবুব, সুনীল বড়–য়া, সুশাসনের জন্য নাগরিক “সুজন” এর জেলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবলীগ সহ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও শহিদুল হক সোহেল, সদর যুবলীগ সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু, সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক রিকু, কক্সবাজার জেলা শ্রমিককলীগের সভাপতি জহিরুল হক সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারী, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রহিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল, যুগ্ন সম্পাদক নুর আল হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রোস্তম আলী চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমাঈল সাজ্জাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদ আবু বক্কর ছিদ্দিক, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নোমান। আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এডভোকেট একরাম।
পাঠকের মতামত