প্রকাশিত: ১৮/০৩/২০১৭ ৮:৫৩ এএম

শামশুল আলম শারেক, টেকনাফ ::
টেকনাফের হ্নীলার লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারী আমির হোসেন কর্তৃক লোকালয়ে আলিশান বাড়ী নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন রোহিঙ্গা নাগরিক হয়ে টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায় ১০৫ কড়া জমিতে আলিশান বাউন্ডারী হাকানো বাড়ি নির্মাণ এলাকাবাসীকে রীতিমত হতবাক করেছে। কিভাবে কিনেছে এই জমি এই নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের ভূমি ক্রয়Ñবিক্রয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী কেউ জমি বিক্রি বা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলে তাকে আগে নামজারী বি.এস. খতিয়ান সৃজন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের আইডি কার্ড ও ছবি প্রযোজ্য। ২০০৮ সালে দেশীয় বৈধ লোকজনের আইডি কার্ড প্রণয়ণ হলে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দলিল লেখার নতুন নিয়ম চালু হয়। সুচতুর লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারী আমির হোসেন একজন এদেশের অবৈধ নাগরিক। কিভাবে কার মাধ্যমে এবং কাদের সহায়তায় বাংলাদেশের মুল ভূখন্ডের লোকালয়ে এত বিশালাকারের জমিতে বাউন্ডারী হাঁকিয়ে আলিশান বাড়ী নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে তা দেখার কেউ নেই। তথ্যানুসন্ধান ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- টেকনাফ ও হোয়াইক্যংয়ের নেতৃত্ব স্থানীয় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে তাকে এ জমি ক্রয় ও বাড়ী নির্মাণ কাজে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিপূর্বেও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকা ১শত ২০ কড়া জমি ক্রয় করে পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় অপরজনকে বিক্রি করে দিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায় ১ শত ০৫ কড়া জমি ক্রয় করে বর্তমানে বাড়ি নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। এভাবে আমির হোসেনের মত আরো অসংখ্য রোহিঙ্গা নাগরিক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে কৌশলে এ দেশের জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড তথা জাতীয় পরিচয় পত্রে স্থান করে নেওয়ার পাশাপাশি একের পর এক লোকালয়ের জমি গ্রাসের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। ইতিপূর্বেও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গারা দালান নির্মাণ করে অবস্থান করার পাশাপাশি কৌশলে জন্ম নিবন্ধন ও আইডি কার্ডের অর্ন্তভূক্ত হয়ে এদেশের নাগরিক সেজে সারাদেশে বিচরণ করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারী আমির হোসেনের লোকালয়ে দালান বাড়ী নির্মাণ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্তির বর্তমান সভাপতি ডাঃ দুদু মিয়া বলেন- সেক্রেটারী আমির হোসেন বস্তির বাইরে বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু জমি ক্রয় করেছে বলে শুনেছি। তবে বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি আমি অবগত নয়। এ বিষয়ে আমির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাড়ী নির্মাণের কথা স্বীকার করে। জমি কিভাবে ক্রয় করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান ভালো জানেন বলে ফোন কেটে দেন। এর কিছুক্ষণ পর হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী ফোন করে সংবাদটি না লিখার জন্য অনুরোধ করেন। আমির হোসেন একজন চিহ্নিত রোহিঙ্গা নাগরিক। সে কিভাবে এ জমি নামজারী ও রেজিঃ করেছে তা খতিয়ে দেখে যারা এ কাজে সহায়তা করছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের অনিবার্য দাবি। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত পূর্বক গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। –

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...