
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ঢাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে মিয়ানমার। তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে বাংলাদেশ বিলম্ব করছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য হিসেবে মাল্টি-মিলিয়ন ডলার বা শত শত কোটি ডলার সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা এ প্রক্রিয়া থামিয়ে রাখবে বলে দাবি মিয়ানমারের। দেশটির মূল নেত্রী অং সান সুচির মুখপাত্র জাওয়া হতাই এ অভিযোগ করেছেন। বাংলাদেশের তরফে একবাক্যে এ অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমারের অভিযোগগুলো সরকারের নজরে এসেছে।
এটি এক বিন্দুও সত্য নয়। মিয়ানমার যা বলেছে, তাতে কেবল বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বের যারা মানবিক এ সংকট নিরসনে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তারাও হতবাক হবেন। এই মুহূর্তে মার্কিন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমারে ৩দিন কাটিয়ে গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ মনে করে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তর থেকে প্রচারিত এমন বিবৃতি সংকট নিরসনে চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। বিষয়টি পরবর্তী বৈঠকে মিয়ানমারের নজরে আনবে ঢাকা।
সুচির দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেছেন, এর আগে সম্পাদিত দুদেশের মধ্যে চুক্তির অধীনে মিয়ানমার ‘শরণার্থীদের’ ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরু করতে প্রস্তুত। তবে এখনও বাংলাদেশ সেসব টার্ম বা শর্ত মেনে নিতে সম্মত হয়নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত ২৫শে আগস্ট আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) চালানো হামলার জবাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও অন্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাহিনী ক্লিয়ারেন্স অপারেশন্স চালাচ্ছে। এ সময়ে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংস নির্যাতন করে তারা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে অকথ্য নির্যাতন চালায় তার অনেকটাই উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। তাতে দেখা যায়, যুবতীদেরকে একেবারে বিবস্ত্র করে তাদের হাত, পা কেটে দেয়া হচ্ছে কুপিয়ে কুপিয়ে। এরপর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কেটে শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বর্ণনা দিয়েছেন কিভাবে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত