
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য মহিবুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন, তার হত্যাকাণ্ড স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে স্বাধীনতার পক্ষে ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডসহ ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের উপর হামলার তদন্ত দাবি করেন।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, তিনি সবসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দয়াকে স্বীকার করেছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অধিকার চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি ব্যক্তিগতভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে তদন্ত, বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করা উচিত।
This is terrible. Mohibullah provided crucial leadership to the #RohingyaRefugees in Bangladesh, repeatedly saying, that they want to go home, but with dignity and safety. He always thanked the Bangladeshi people for providing refuge, but also asked for rights protections. https://t.co/yGE7kQMc2T
— meenakshi ganguly (@mg2411) September 29, 2021
এক বিবৃতিতে মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, মহিবুল্লাহ বাংলাদেশে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর নেতা হিসেবে কাজ করেছেন, যারা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আগমনের সময় অকল্পনীয় ক্ষতি এবং যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপরাধের নথিপত্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শরণার্থীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। মহিবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে তার কাজের জন্য হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন ।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, মহিবুল্লাহ সবসময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন, তাদের অধিকার, জীবনমান ও ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে তাদের মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করেছেন।
তার মৃত্যু শুধু শরণার্থী শিবিরে অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংগ্রামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং মিয়ানমারে নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
প্রসঙ্গত, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মহিবুল্লাহ (৫০) বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকে তার নিজ অফিসে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন।

পাঠকের মতামত