প্রকাশিত: ১০/১০/২০১৭ ৫:১৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৭ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া চিঠির জবাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে সেদেশের মানবাধিকার কমিশন। মিয়ানমারকে আলোচনার টেবিলে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সুপারিশ করেছে মানবাধিকার কমিশনের কমিশন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চলছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে নির্যাতনের শিকার ১০ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা। বাংলাদেশমুখী এই স্রোত এখনও অব্যাহত রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মিয়ানমরের মানবধিকার কমিশনকে গত ৮ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই চিঠির জবাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের কারণ হিসেবে তাদের হত্যা ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন: যদিও তারা সবকিছু স্বীকার করতে চায় না, তবুও চিঠির জবাবে তারা স্বীকার করেছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করার ফলে তারা বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্য মিয়ানমার সরকার বারবার বলতে চেষ্টা করেছে যে, তাদের ওখানে কোন নির্যাতন হচ্ছে না।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার পুলিশের উপর আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলাকে দেশটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অন্তর্জাতিক তদন্তের সুপারিশ করেছে জাতীয় মানবধিকার কমিশন।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন: দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সামাজিক খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেও কেবল মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সুত্র : চ্যানেল আই

পাঠকের মতামত

বৈশ্বিক অনুদান কমায় রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশু শিক্ষার পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ...

যে কারনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প

এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা ...

ট্রাম্পের অনুরোধে ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে কাতার

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ...