
উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ার কুতুপালংয়ে দুই হাজার একরের সঙ্গে ৪ হাজার একর জমি যুক্ত করে সম্প্রসারণ হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সরকারের লক্ষ্য, সেখানেই থাকবে বাংলাদেশের সব রোহিঙ্গা। এদিকে ক্যাম্প এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।
একাধিক নয়, এখন থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়েই থাকবে রোহিঙ্গাদের একমাত্র আশ্রয় শিবির। এর বাইরে দেশের আর কোথাও রোহিঙ্গারা থাকতে পারবেন না।
কুতুপালংয়ে অবস্থান করা নতুন ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার সাথে যুক্ত হবেন ১৯৭৮ থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীরাও। এজন্য টেকনাফ ও বান্দরবানের নিবন্ধিত অনিবন্ধিত সব ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হবে। এতে তাদের নিবন্ধনসহ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কাজ সহজ হবে বলে মনে করছে সরকার।
এরই মধ্যে কুতুপালংয়ে শুরু হয়েছে ক্যাম্প সম্প্রসারণ। নির্ধারিত ২ হাজার একর জমির সাথে আরও ৪ হাজার একর জায়গা যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। সেখানে পয়নিষ্কাশন ও সুপেয় পানিসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবেন রোহিঙ্গারা।
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। দেশি-বিদেশি এনজিও এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সদস্যদের সন্ধ্যার আগেই শেষ করতে হবে কাজ।
মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে চলছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। এখনও প্রতিদিন বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা।
পাঠকের মতামত