প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০১৭ ৮:২০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩২ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩ লাখ ৮৯ হাজার রোহিঙ্গার মাঝে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে থেকে সরাসরি কোন প্রকার ত্রাণ বিতরণ করা যাবে না। সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সকল প্রকার ত্রাণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় জমা করতে হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে সুষ্ঠু নিয়ম নীতির ভিত্তিতে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংস ঘটনার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

আইওএম কক্সবাজার অফিস প্রধান- সংযুক্তা সাহানি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

আইওএম কর্মকর্তা আরো জানান, রাখাইনে সহিংস ঘটনার পর অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ লাখ ৫৪ হাজার আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের ৫টি ক্যাম্পে। এই ক্যাম্পগুলো হচ্ছে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, টেকনাফের নয়াপাড়া, লেদা ও সামলাপুর। অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির হাকিমতলা, জামতলী, মনিরঘোণা, ঘুমধুমের রাবার বাগান, টেকনাফের উনচিপ্রাং ও বার্মা পাড়ায় অবস্থান নিয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার রোহিঙ্গা।

এছাড়া আরো প্রায় ২১ হাজার রোহিঙ্গা বিভিন্ন স্থানে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইওএম কর্মকর্তা সংযুক্তা সাহানি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের প্রেক্ষিতে বিপর্যস্ত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান করছেন। এদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। এসব সহায়তার ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গেছে। বিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে কেউ সাহায্য পাচ্ছেন, অনেকে কিছুই পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে ত্রাণ নিতে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হচ্ছেন। এ কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষে বিশেষ ত্রাণ শাখা চালু করা হয়েছে। সকল প্রকার ত্রাণ ওই শাখায় জমা রেখে নির্ধারিত কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে তা বিতরণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।

অনিবন্ধিত সকল রোহিঙ্গার তালিকা তৈরীর কাজ পুরোদমে চলছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, তালিকা তৈরী শেষ হলে অবশ্যই ত্রাণ বিতরণে নিয়ম চলে আসবে। বিশুদ্ধ পানি এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেট স্থাপনের কাজও করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন জানান, ত্রাণ বিতরণে বিশৃখংলার কারণে আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ত্রাণ বিতরণে নিয়ম চালু করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে পোস্ট, এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা ...

আলোচিত স্কুলছাত্রী টেকনাফের তাসফিয়া হত্যা: এবার তদন্ত করবে পুলিশ

চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ...