প্রকাশিত: ০৭/০৮/২০১৬ ৮:০৭ এএম , আপডেট: ০৭/০৮/২০১৬ ৯:১৬ এএম

রামু প্রতিনিধি

প্রেমিকার সাথে প্রতারণা করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক অন্য এক মেয়েকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার অভিযোগে প্রতারক প্রেমিক আবুল কালাম আজাদের (২৬) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রামু কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও সেই পুরনো প্রেমিকা। গতকাল শনিবার রামু থানায় এ মামলা করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ টেকপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে থেকে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রায় সময় আজাদ তাদের বাড়ি আসতো। বাড়িতে তার বাবা-মায়ের অসুস্থতার সুযোগে এবং বিয়ের প্রলোভনে সম্মতি আদায় করে প্রায় সময় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতো। কিন্তু তাকে (আজাদ) বিয়ের করার জন্য চাপ দিলে আজাদ নানা অজুহাত দেখাতো। এভাবে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর একমাস আগে হঠাৎ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন প্রতারক আজাদ।

গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) রামুর জোয়ারিয়ানালা ম্যারেজ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অপ্রাপ্তবয়স্ক অন্য এক মেয়েকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে চকরিয়ার এক মার্কেটে মেয়েটির সঙ্গে আজাদের পরিচয় ঘটে। এ সময় মেয়ের বড় বোনও সাথে ছিল। পরিচয়ের সুবাদে আজাদ তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে বিয়ের প্রলোভনে আজাদ মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে পরে প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ইউএনও সেলিনা কাজী বলেন, যে মেয়েটিকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল মেয়েটি মাত্র দু’বছর আগে অষ্টম শ্রেণি থেকে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। ভূয়া জন্ম সনদ দিয়ে এ বিয়ে সম্পাদন করা হচ্ছিল। তাদের প্রদর্শিত জন্ম সনদে ওই মেয়েটির জন্ম তারিখ ১০ জানুয়ারি ১৯৯৮ দেখানো হলেও বাস্তবে এ সনদের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যে কারণে বিয়েটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কনের মা-বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানবিক দিক বিবেচনা করে শুধুমাত্র দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে রেহাই দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য পুরনো প্রেমিকার সাথে প্রতারণা করে অপ্রাপ্তবয়স্ক অন্য এক মেয়েকে নিয়ে গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়া নালা ইউনিয়নের ম্যারেজ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ টেকপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২৬) । এ সময় পুরনো প্রেমিকা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ বিয়ের আসরে গিয়ে বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী ও ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় ভুয়া জন্ম সনদ দিয়ে বাল্যবিয়ে সম্পাদন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় এবং বর-কনে উভয় পক্ষকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...