প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা গ্রামে পাহাড় কাটার ঘটনায় অবশেষে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাহাড় কাটায় জড়িত কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই জন ইউপি সদস্যসহ জনকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় লিখিত এজাহার দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে রামু থানায় এজাহারটি দায়ের করেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া বাসিন্দা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাসাইটি’র (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন।
এজাহারে অভিযুক্তরা হলেন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিব উল্লাহ, মহিলা ইউপি সদস্য আনার কলি, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ ও উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া গ্রামের মকতুল হোসেনের ছেলে আবদুল কাদের।
এজাহার দাতা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাসাইটি’র (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন জানিয়েছেন, এ সংগঠন দীর্ঘদিন কক্সবাজার জেলার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা, গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় পাহাড় কাটা বন্ধসহ পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগী ভুমিকা অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালেরকন্ঠ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া এলাকায় সরকারি মালিকানাধিন পাহাড় কেটে পরিবেশ প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতির সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরই প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় সরেজমিন গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। এমনকি পাহাড় কাটায় জড়িতরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাহাড়ের মাটি অন্যত্র বিক্রি বিক্রিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহারে লিপ্ত রয়েছে। এসব কারনে পুরো কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে পাহাড় কাটার দৃশ্য সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানিয়েছেন, কাউয়ারখোপের টিলাপাড়ায় পাহাড় কাটার ঘটনায় ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাসাইটি’র (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি জানিয়েছেন, এজাহার দেয়ার ওসি তাকে অবহিত করেননি। তবে এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
পাঠকের মতামত