উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
নানার বাড়ি এনে গোপনে অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর বিয়ে দিচ্ছিলেন অভিবাবকরা। আজ সোমবার ছিল বিয়ের দিন। দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিরা খেতেও বসেছিলেন। এমন সময় গোপন বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন কক্সবাজারের রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রকৌশলী মো. নিকারুজ্জামান। ভাতের প্লেট ফেলে যে যেদিকে পারেন পালিয়ে যান অতিথিরা। পণ্ড হয়ে যায় বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠানটি। গোপণ বিয়ের আয়োজককে আটকের পর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পেটান আলী মেম্বারের বাড়িতে। রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রকৌশলী মো. নিকারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, ‘রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলীর নির্দ্দেশনায় আমি গোপন বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আটক বাল্য বিয়ের আয়োজক নুরুল হককে। আটক ব্যক্তি দোষ স্বীকার করায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করি। ’
তিনি আরো জানান, বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল উখিয়ার রাজা পালং আবুল কাশেম নূরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বাজেকাতুল জামান নামের এক কিশোরীকে।
কিশোরী বাজেকাতুল জামানের বাপের বাড়ি উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ারবিল গ্রামে। কিশোরীর বাবার নাম জাফর আলম ও মা’র নাম কামরুন নাহার।
পাঠকের মতামত