প্রকাশিত: ১২/০৮/২০১৭ ৭:৫১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:১৯ পিএম

মোঃ জয়নাল আবেদীন, রাঙামাটি::
আবারও টানা প্রবল ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঘাগড়ায় আবারো পাহাড় ধ্বসে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুপুরে ঘাগড়ার চম্পাতলী এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে কয়েক ঘন্টা বন্ধ থাকার পর স্থানীয় লোকজন রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে নিলে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এছাড়া কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চল প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ীঢলে প্লাবিত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ঘাগড়া বাজার এলাকার খালের পাশে থাকা বেশকিছু ঘরবাড়ী, ঘাগড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, ঘাগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

টানা প্রবল বর্ষনে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করেছে।

রাঙ্গামাটি সড়ক জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মুছা জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু স্থানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন দুপুর থেকে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আবারো বড় ধরনের পাহাড় ধ্বসের আতংক দেখা দিয়েছে। গত দুই মাস পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পাহাড়ধসের দুদিন পূর্ব থেকে এ ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং তৃতীয়দিন ভোর রাত থেকে শুরু হয় ভয়াবহ পাহড়া ধস। এই পাহাড় ধসের কারনে রাঙ্গামাটির ইতিহাসে ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। রাঙ্গামাটি জেলায় অন্তত ১২০ জন লোক প্রান হারায় এবং আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। ভয়াবহ এই পাহাড় ধসের কারনে এখনো প্রায় সাত শতাধিক পরিবার তাদের বসতবাড়ী হারিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের বিভিন আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো অবস্থান করছে। এই পাহাড় ধবসের ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠার আগেই আবোরো শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষন।

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বস বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল হুমকীর মধ্যে পড়েছে।

ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল থেকে টানা বর্ষণের ফলে ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড় থেকে আবারো মাটি ধ্বসে পড়ে। বৃষ্টির সাথে সাথে পাহাড়ের মাটি রাস্তায় এসে পড়ে। তবে ভাগ্য ভালো এ সময় কোন গাড়ী এই এলাকায় ছিলো। গাড়ী থাকলে হয়তো বিপদ হতে পারতো। পরে এলাকার লোকজন এবং সিএনজি চালকরা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তার মাটি সরিয়ে ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।

রাঙ্গামাটি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার জানান, আকাশের অবস্থা খুবই খারাপ। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে দুপুর থেকে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় মাইকিং এ।

শুক্রবার রাত নয়টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় রাঙ্গামাটি জেলা শহর, কাউখালী, কাপ্তাইসহ আশে পাশের এলাকা গুলোতে মূষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। অতি বৃষ্টির ফলে প্রায় সকল এলাকায় দুপুর ১টা থেকে নেই বিদ্যুৎ।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...