
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা বাহিনী ও নাডালা বাহিনীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শিশুসহ চারজন। গুলিবিদ্ধরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জালিয়াপাড়া এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গারা হলো-আমেনা খাতুন (২৬), আব্দুল করিম (২২), ইমান শরিফ (২০) ও মো. সোহেল (৮)। তারা সকলেই মিয়ানমারের রাছিদং এলাকা খৈয়ারবিল গ্রামের বাসিন্দা।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস বলেন, গুলিবিদ্ধ চারজন রোহিঙ্গাকে চিকিৎসার জন্য আনা হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা প্রত্যেকের হাত, পা ও বুকে গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তারমধ্যে শিশু মো. সোহেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আব্দুল করিম বলেন, গত ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মিয়ানমারের সেনা ও নাডালা বাহিনীর একটি দল তাদের গ্রামের হামলা চালায় এবং ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এসময় জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে পালানোর চেষ্টকালে তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ১০-১২জন শিশ, নারী ও পুরুষরা গুলিবিদ্ধ হন। তারপর থেকে পালিয়ে তারা পাহাড়, জঙ্গল আশ্রয় নিয়ে অবশেষে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে আসছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, পুলিশ হাসপাতালে যাবার আগেই গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা কৌশলে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
পাঠকের মতামত