প্রকাশিত: ১৪/০৮/২০১৭ ১০:৩১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০৯ পিএম

চট্টগ্রাম: বাইরে থেকে ওই বাড়িতে সহজে ঢোকার সুযোগ নেই। কোনোভাবে ঢুকতে পারলেও কাউকে ধরা অতো সহজ নয় ! ততক্ষণে যে বিশেষ দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এই পরিবারের বাবা থেকে মা, ভাই থেকে বোন-সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ২০টির উপর মামলা রয়েছে।

তবে এবার সেই মাদক পরিবারের দুজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে। যথারীতি বাকিরা পালিয়েছে। নগরীর বায়েজিদ থানার পশ্চিম শহীদনগর এলাকায় এই পরিবারের বসবাস।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় বাড়িটি ঘিরে ওই পরিবারের প্রধান কর্তা মোহাম্মদ নাছির ও তার মেয়ে জামাই তাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এর আগেই পরিবারের বাকি ছয় সদস্য পালিয়ে যায়। তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। এর আগেই তারা পালিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ঘরটি বিশেষভাবে তৈরি। মাদক বিক্রির জন্য সেখানে সিনেমা প্যালেসের আদলে কাউন্টার রয়েছে। সেই কাউন্টার দিয়ে ভেতর থেকে হাতে বাইরে মাদক বিক্রি করা হয়। এর পাশাপাশি ঘরটির বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ দরজা রয়েছ। পুলিশ গেছে এমন খবর পেলেই সেই দরজা দিয়ে তারা পালিয়ে যেত।’

‘এই পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সোমবার বাড়িটি চারদিকে ঘিরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে ৬৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছি।বাকিরা পলাতক রয়েছে। এই পরিবারের আট সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে ২০টির মতো মামলা হয়েছিল।’-বলেন ওসি।

বায়েজিদ থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার নাছির ও তাজু ছাড়াও বাকি যারা মামলার আসামি হয়েছেন তারা হলেন, নাছিরের ছেলে শহীদ খান প্রকাশ সৈয়দ খান, শফি আলম প্রকাশ বাকুম, পালিত পুত্র দেয়োয়ার ওরফে বাদল, স্ত্রী রুপ বানু, দুই মেয়ে কোহিনুর ও মরিয়ম।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...