
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে মিয়ানমারের স্বীকৃত সংখ্যালঘুদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সেনাবাহিনীর তৈরি করা সংবিধান সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বেসামরিক প্রেসিডেন্ট থিন কিউ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। তবে তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা উল্লেখ করেননি।
থিন কিউ বলেন, রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকে উপযুক্ত সংবিধান গঠনের জন্য কাজ করতে হবে।
জাতিসত্তাগুলোর জন্য মুক্তি, ন্যায়বিচার, সমতা ও জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে দেশটি এগিয়ে যাচ্ছি বলেও উল্লেখ করেন মিয়ানমারের বেসামরিক প্রেসিডেন্ট।
২০০৮ সালের সংবিধানে সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
সংবিধান সংশোধন ও নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপে ভেটো দেয়ার ক্ষমতাও রয়েছে সেনাবাহিনীর।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা জোরালো হবার পর হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছয় লাখেরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন একে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে নতুন করে দেশটির কাচিন এবং শান প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষ।
পাঠকের মতামত