নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের মংডুতে চলছে সহিংসতা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের দিকে। সতর্ক পাহারা ফাঁকি দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে অনেকেই। রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও সহিংসতার প্রভাবমুক্ত রাখতে বাড়তি সতর্কতা স্থানীয় প্রশাসনের। কক্সবাজার থেকে এটিএন বাংলার সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। তা ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমারের মংডুর ৪ ও ৫ নাম্বার সেক্টরের অধিকাংশ গ্রাম নিশ্চিহ্ন প্রায়। হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান অজানা পরিস্থিতি ভয়াবহ। অনেকেই এটাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন। জীবন বাঁচাতে সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা। তাদের স্মার্টফোনের ভিডিওতে ধারণ হয়েছে বর্বরতার চিত্র।
ঘটনার সূত্রপাত, গত ৯ অক্টোবর মংডুতে বর্ডার গার্ড পুলিশের ৩টি পোস্টে দুস্কৃতিকারীদের হামলা থেকে। এরপর যৌথ অভিযানে বর্বরতা শুরু রোহিঙ্গাদের ওপর। এদিকে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভারে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশ। তাই অনুপ্রবেশ বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। চলতি মাসে এপর্যন্ত দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়া নয়; রোহিঙ্গারাও চায়- আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ুক মিয়ানমারের প্রতি। অন্যথায় গণহত্যা চালিয়ে শেষ করে দেয়া হতে পারে রোহিঙ্গাদের।
পাঠকের মতামত