সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নে হালনাগাদ ভোটার কার্যক্রমের ছবি তোলার সময় স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতির অভিযোগে ২জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিধিমতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের এ দন্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। ৩০ অক্টোবর ছবি তোলার কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের একটু আগে ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হচ্ছে টেকনাফের হ্নীলা কাঞ্জরপাড়ার মৃত মিয়া হোসেনের পুত্র বয়োবৃদ্ধ আবুল হাশিম এবং রামুর ধেছুয়াপালংয়ের আবদুল আখেরের পুত্র মোহাম্মদ আয়াছ। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সচিব নুরুল কাদের জানান, পূর্বঘোষিত সিডিউল অনুযায়ী গতকাল সকাল ৮ টা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম/ ১৭ এর আওতায় ছবি তোলার কাজ শুরু হয়। যার উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান রফিক আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য, সচিব, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গ্রামপুলিশসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। পুরা দিনে সাড়ে ৫শতাধিক বৈধ ভোটার ছবি তুলেন। যারা এদিন ছবি তুলতে পারেনি তারা আগামী ৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাচন অফিস ও পাশর্^বর্তী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলাকালীন ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। উক্ত কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নোমান হোসেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা কর্তৃক উক্ত ২ জন রোহিঙ্গা নাগরিক আটক হয়। তারা উভয়েই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ভোটার নিবন্ধন ফর্ম (ফর্ম-২) এ ইউএনও এবং নির্বাচন অফিসারের স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কাগজ ও সনদ জাল পূর্বক ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে। তারা স্বীকারোক্তি দেয় যে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সুপার-ভাইজার ও পূর্ব গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০১৭ এ তাদের থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে এ কাজে সহায়তা করেন। উল্লেখ্য, উক্ত শিক্ষক ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষক হওয়ায় তাকে মোবাইলকোর্টে কোন শাস্তি প্রদান করা হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন অফিস যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসনের ঐ মুখ্য কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত আইন ২০০৯ এর দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ধারা ৩৫৩ বিধিমতে আটকদের এ দন্ড প্রদান করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মনছুর আলম আজাদ জানান, তাদের দাখিলকৃত কাগজপত্র সন্দেহ হওয়ায় যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে উর্ধ্বতন প্রশাসন এ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য নেয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত