
ভেরিফিকেশনের জন্য আরও ৬ হাজার পরিবারের ২৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সোমবার (২৯ জুলাই) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সচিব বলেন, এর আগে দুই দফায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৮ হাজারের ভেরিফিকেশন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভেতরে আস্থার সংকট রয়েছে। তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের কয়েকটি দাবি রয়েছে। এর মধ্যে নাগরিকত্ব, চলাচলের স্বাধীনতা, অথনৈতিক কার্যক্রম করার স্বাধীনতা এবং যে জায়গা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে তা ফেরত দেওয়া। প্রত্যাবাসনের জন্য তাদের মধ্যে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।’
সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে কিনা—জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘যদি অবস্থা ভালো হয় তবে তারা ফেরত যেতে পারে।’
শনিবার ও রবিবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থ রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি প্রত্যাবাসন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি কেমন। এটি একটি যৌথ প্রচেষ্টা। তাদের সঙ্গে আসিয়ান কর্মকর্তারা ছিলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবে বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা বার্গেনারের সম্প্রতি করা মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি ঠিক না। ক্রিস্টিনা জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করছে। তিনি প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকে বিষয়টি সমাধানের জন্য সহায়তা করছেন।’
আসিয়ানের আহা সেন্টারের একজন কর্মকর্তার তাদের সম্প্রতিক রিপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি প্রাথমিক রিপোর্ট।
ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যেতে প্রস্তুত। ৮০০টি পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামের মধ্যে মাত্র দু’টি গ্রাম স্ট্যাডি করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
৮০০ গ্রামের মধ্যে দু’টি গ্রাম স্ট্যাডি করা যৌক্তিক কিনা— এ প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের সচিব বলেন, এটি প্রথম রিপোর্ট। এরপর আমরা আরও রিপোর্ট তৈরি করবো। প্রথম রিপোর্টের টামর্স অব রেফারেন্সে আমাদেরকে তিনটি জিনিস করতে বলা হয়েছে। প্রথমত, প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার মূল্যায়ন, দ্বিতীয়ত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের যে সুবিধাগুলো আছে তার মূল্যায়ন যেমন, ট্রানজিট সেন্টার বা প্রত্যাবাসন সেন্টারের মূল্যায়ন করা এবং তৃতীয়ত কী কী ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দিতে পারি। বাংলাট্রিবিউন
পাঠকের মতামত