
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ::
টেকনাফ পৌরসভায় রোহিঙ্গাদের অবস্থানরত অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-৭। এসময় এক রোহিঙ্গা নারী ও রোহিঙ্গাদের ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে। ১৩ নভেম্বর সোমবার দুপুরে পৌরসভায় ২নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, মিয়ানমার রাখাইনে সহিংসতার পর থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয়ে আসে। এসব রোহিঙ্গাদের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। কিন্তু অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে ভাড়া বাসায় উঠে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া ও আশ্রয় না দিতে মাইকিং করে। তবু এক শ্রেণীর ভাড়া বাসার মালিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকায় সহিংসতার পাশাপাশি চুরি, মাদক সেবনসহ অবৈধ কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে।
এর প্রেক্ষিতে র্যাব-৭ বিভিন্ন ভাড়া বাসায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এবং ভাড়াটিয়াদের আইডি কার্ড, জম্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করা হয়। রোহিঙ্গারা আগাম খবর পেয়ে বাসায় তালা মেরে সটকে পড়ে। এসব বাসায় তালা ভেঙ্গে অভিযান চালানো হয়। এসময় র্যাব-৭ ইসলামাবাদ এলাকার ভাড়াটিয়া মালিক ফরিদের ছেলে বাবলু (১৭) ও তাদের ভাড়া বাসা থেকে ফাতেমা বেগম (৩২) নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে র্যাব-৭ নিয়ে যায়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন জানান, রোহিঙ্গাদের কোন ভাবেই ভাড়া বাসা দেওয়া যাবেনা। তাদের জন্য নির্দিষ্ট আশ্রয় ক্যাম্প রয়েছে। যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও রোহিঙ্গাসহ যে কোন অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে একই দিন বিকালে টেকনাফ উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুরেও মাসিক জমি ভাড়া নিয়ে ঝুপড়ি করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া জমির মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত