এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুর বাসভবনে ডেকে অন্তঃসত্ত্বা সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় হাসিব মাল নামের ১২ বছরের ৫ম শ্রেণির ছাত্রের। কাগজে কলমে তার বয়স ১২ হলেও বাস্তবে বেশি হবে। হাসিব গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, উমাজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম মালের ছেলে হাসিবের সঙ্গে আসলাম মালের মেয়ে সোনিয়ার অবৈধ মেলামেশা ছিল। এক পর্যায়ে সোনিয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় কাজী মো. আলতাফ হোসেন ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে পড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে খুব গরীব। তারা একে অন্যের সাথে মেলামেশা করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাই সামাজিক স্বীকৃতি হিসেবে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাসিবের দিনমজুর পিতা হাকিম মাল বলেন, আমি গরীব অসহায়। মামলা চালানোর সামর্থ নেই। তাই স্থানীয় লোকজন ও চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বিয়ে মেনে নিয়েছি। দুই মাস পূর্বে একটি সালিশি বৈঠকে আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ইউপি সদস্য মো. আলম মৃধা। ওই টাকা দিতে না পারায় সোনিয়াকে আমার শিশু ছেলের সাথে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে সোনিয়ার দাবি, হাসিবের সাথে মেলামেশা করার ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।
হাসিব মাল অভিযোগ করে বলেন, অন্যায়ভাবে অন্তঃসত্ত্বা কনেকে আমার ওপর চাপানো হয়েছে। সোনিয়ার গর্ভের সন্তানের দায় আমি কেন নেব? আমিতো লেখাপড়া করছি। হাসিব মাল এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, ঘটনা শুনে আমি থানার ওসি ও জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। ঘটনাটি দেখতে সরেজমিন পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
পাঠকের মতামত