প্রকাশিত: ১৭/১০/২০১৬ ৮:০০ এএম

বান্দরবান প্রতিনিধি::

বান্দরবানের সাত উপজেলার ৩টিতে নেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি খালি থাকায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকাণ্ড প্রায় অচল হয়ে পড়েছে, বেড়েছে ভোগান্তি।

বান্দরবানের রুমা, আলীকদম ও লামা উপজেলায় ইউএনও নেই গত এক মাসেরও বেশি সময় থেকে। ইউএনও না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রুমা ইউএনও’র দায়িত্বে রয়েছেন বর্তমানে বান্দরবান সদর উপজেলার ইউএনও সুজন চৌধুরী।

অন্যদিকে লামা উপজেলার ইউএনও আলীকদম উপজেলার দায়িত্বে থাকলেও বর্তমানে লামা উপজেলাতে ইউএনও নেই।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ইউএনও আবু সাফায়াত মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম সম্প্রতি সেখানে বদলি হয়েছেন। তবে ৩১ অক্টোবর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নির্বাচন থাকায় তিনি সাময়িক দায়িত্ব পালন করছেন।

রুমা উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াই চিং মারমা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর ইউএনও কাজি মুহাম্মদ ছলেহ্ তস্তুরী বদলি হয়ে গেছেন। এখনো পদটি খালি রয়েছে।

সদর উপজেলার ইউএনও দায়িত্বে থাকলেও উপজেলা প্রশাসন প্রায় অচল। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ইউএনও না থাকায় অন্য কর্মচারী কর্মকর্তরাও ঠিকমত অফিসে আসেন না। ভূমি ক্রয় বিক্রয় বন্দোবস্ত সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিগুলো ঠিকমত চলছে না। প্রশাসনের অচলাবস্থায় সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন।

রুমা উপজেলার স্থানীয় সাংবাদকর্মী শৈহ্লাচিং মারমা জানান, উপজেলা কার্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলছে। এমনিতেই কর্মকর্তরা উপজেলায় থাকেন না। তার উপর ইউএনওর পদটি খালি থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। লোকজন বাধ্য হয়ে ৫০ কিলোমিটার দুরে জেলা সদরের ইউএনও অফিসে গিয়ে কাজ করাচ্ছেন।

আলীকদম উপজেলার অবস্থা আরো শোচনীয়। লামা উপজেলার ইউএনও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও লামাতেও এখন ইউএনও নেই। গত সপ্তাহে ইউএনও খালেদ মাহামুদ বদলি হয়ে গেছেন। লামায় খিন ওয়ান নু রাখাইনকে ইউএনওর দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি এখনও যোগদান করেননি। বান্দরবানের সবচেয়ে বড় এই দু’টি উপজেলাতে ইউএনও না থাকায় সাধারণ লোকজনের ভোগান্তি বেড়েছে।

লামার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল জানান, খুব দ্রত ইউএনওদের দায়িত্ব নেওয়া প্রয়োজন। না হলে মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়বে।

বান্দরবান সদর উপজেলার ইউএনও সুজন চৌধুরী জানান, মানুষের ভোগান্তি কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সাপ্তাহে অন্তত একদিন রুমা উপজেলাতে গিয়ে অফিস করার চেষ্টা করছি। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এক সাথে দুটি উপজেলা চালাতে গিয়ে কষ্ট হলেও কিছু করার নেই।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, পার্বত্য এলাকা হওয়ায় বদলি করলেও ইউএনওরা কর্মস্থলে আসতে চান না। অনেকে বদলি কাটিয়ে অন্য কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে কর্মকর্তাদের পদগুলো প্রায় সময়ই খালি পরে থাকে। তবে উপজেলাগুলোতে খুব শিগগিরই নতুন ইউএনও যোগদান করবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...