
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী জান্নাতুল তৃষ্ণা সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে লড়াইয়ে জিতে আর ফিরে আসা হলো না তার।
রাজধানী ঢাকার শমরিতা হাসাপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তৃষ্ণার বাবা ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তৃষ্ণা জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ফজলুল হক জানান, মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে বগুড়ায় বন্ধুর বাইকের পেছন থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন তৃষ্ণা। ঘটনাস্থল থেকে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো জানান, অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (১৬ জুন) হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে তিনি আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
সন্ধ্যায় তৃষ্ণার মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যায় তার পরিবার। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকসহ তৃষ্ণার কয়েকজন সহপাঠী।
তিনি জানান, শুক্রবার (১৮ জুন) বাদ জুমা বগুড়ার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ মাঠে জানাজা শেষে সুখানপুকুর গ্রামে তৃষ্ণাকে দাফন করা হবে।
এ সময় তৃষ্ণার বাবা ফজলুল হক বলেন, “অনেক আশা নিয়ে তৃষ্ণা জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হয়েছিল। আজ তার লাশ নিয়ে আসতে হলো ক্যাম্পাসে। দুর্ঘটনায় মেয়েটাকে হারালাম। আর কারও বুক যাতে এভাবে খালি না হয়।”
তৃষ্ণার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ জানান, “তৃষ্ণার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই।
পাঠকের মতামত