ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার ::
নাফ সীমান্তের এপার – ওপার – কোন পাড়ই নিরাপদ নই, মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য। ‘মগের মুল্লুক’- এটি বহু পুরনো ও প্রচলিত প্রবাদে পরিণত হয়ে আছে। মূলত আরাকান রাজ্যকে মগের মুল্লুক নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। মগের মুল্লুক শব্দ দুটি সাধারণত বেপরোয়া ঘটনাবলীর বিপরীতে ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমান গণতান্ত্রিক নামের সরকারও বর্তমানে সে দেশের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের ওপর যে বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে তা মগের মুল্লুক শব্দ দুটিকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের ওপর সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী দলের সদস্যরা যে বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে তাতে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা টিকতে না পেরে অধিকাংশ বাড়ি-ঘর ছাড়া হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানে এ পর্যন্ত ১২ শতাধিক বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব স্থাপনা রোহিঙ্গাদের মালিকানার। অপরদিকে সেনা অভিযানে প্রাণহানির সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ১৭১ জনে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। পৈশাচিক কায়দায় হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি চলছে
রোহিঙ্গা যুবতীদের নির্বিচারে ধর্ষণ। ফলে বসতবাড়ি হারা এসব রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে বলে সেখানকার বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ নোবেল বিজয়ী সুচির এনএলডি সরকার অস্বীকার করে আসছে।
রাখাইন প্রদেশের বর্বরতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কারণে জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআরএ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সীমান্ত রোহিঙ্গাদের জন্য খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তাদের আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এ আবেদনের কোন যৌক্তিকতা নেই বলে বাংলাদেশ সরকার এতে সায় দিচ্ছে না। কেননা, ইতোপূর্বে যেসব রোহিঙ্গারা শরণার্থী হিসেবে এদেশে আসার পর এখনও যারা অবস্থান করছেন তাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা দিয়েও মিয়ানমার সরকার তা রক্ষা করেনি। উল্টো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বলে দাবি করে থাকে সেদেশের সরকার। এ কারণে গত ৭ দশক ধরে মিয়ানমারের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর সে দেশের একটি সীমান্ত চৌকিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনার পর রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর নির্বিচার নির্যাতন ও গণহত্যা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বিজিবিও রোহিঙ্গারা যাতে দলে দলে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা বলবৎ করেছে। কিন্তু তারপরও অনেকে সীমান্ত গলিয়ে চলে আসছে এবং এদেশে অবস্থানরত বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।
রাখাইন প্রদেশের মংডুতে সর্বশান্ত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া কয়েক রোহিঙ্গার সঙ্গে সোমবার কথা বলে যে বর্ণনা পাওয়া গেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
মোহাম্মদ আনিছ উল্লাহ। জন্মস্থান মিয়ানমারের কেয়ারিপ্রাং। সেনাবাহিনী সদস্যরা নির্বিচারে ধর্ষণ, নীপিড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দেখে শনিবার পালিয়ে পৌঁছেছে কক্সবাজার শহরে। স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে আগে থেকে ভাড়া বাসায় অবস্থানকারী আত্মীয়ের কাছে। মিয়ানমারে সেনা ও বিজিপির অত্যাচার, নির্মম হত্যাকা- ও ধর্ষণের বর্ণনা দেন তিনি। লোমহর্ষক এ বর্ণনা। রাখাইন প্রদেশের মংডুর উত্তরে গ্রামগুলোতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি রাতও ঘুমাতে পারেনি। কোন সময় সেনা সদস্যরা এসে জ্বালিয়ে দেবে ঘর-বাড়ি এ আশঙ্কায়। তার ওপর রয়েছে নারী ধর্ষণের ভীতি। এছাড়া ধরে নিয়ে যাবে পুরুষ সদস্যদের। হত্যাযজ্ঞ চালাবে নির্বিচারে। এ ভীতি ও আশঙ্কায় প্রায় দেড়মাস ধরে কারও চোখে ঘুম নেই। নিজ দেশে বাস করেও তাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। সুচির এনএলডি সরকার ক্ষমতায় আসার পর রোহিঙ্গারা আশাবাদী হয়েছিল। কিন্তু সবই গুড়েবালি। তিনি আরও জানান, দেড় মাস ধরে তাদের বাড়ি-ঘরে শুধু চাল ছাড়া খাবার নেই। অনাহারে অর্ধাহারে ও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আর যাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা প্রাণ বাঁচাতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অবস্থা আরও করুণ। কেননা যাদের ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে, তারা শুধু শূন্য হাতে জান রক্ষার্থে বেরিয়ে গেছে ঘর থেকে। বর্তমানে ওইসব নারী-পুরুষ ও শিশুরা পাহাড়ের পাদদেশে আশ্রয় নিয়ে বনজঙ্গলের লতাপাতা খেয়ে জীবন বাঁচিয়ে তাদের মাতৃভূমিতে কখন শান্তি আসবে- তা প্রহর গুনছে।
আনিছ উল্লাহ (২৮) আরও জানায়, গত সোমবার তারা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গভীর রাতে রওনা দেন। বন্য হিংস্র প্রাণীর সম্ভাব্য আক্রমণ উপেক্ষা করে সূর্যের আলো দেখা যায় না এমন বন জঙ্গল পেরিয়ে তিনিসহ যারা বাংলাদেশে আসতে পেরেছে তারা সত্যিই ভাগ্যবান। কারণ নরক যন্ত্রনা থেকে তারা পরিত্রান পেয়েছে। আনিছ উল্লাহ জানান, কক্সবাজার শহরের একটি পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে বর্তমানে অবস্থান করছে তার মতো আরও ১৮ জনের ২টি পরিবার। সোমবার বিকেলে ওই বাসায় সাংবাদিক পরিচয় দিলে অনুপ্রবেশকারীরা কোন দ্বিধা ছাড়াই চলে আসে কথা বলতে। বর্ণনা দেন মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও রাখাইন প্রদেশের মংডুর ভয়াবহ পরিস্থিতির। তার ভাষায় গত ১০ অক্টোবর থেকে অন্তত তিন শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানকে গুলি করে হত্যা করেছে সেনা সদস্যরা। আর দেশটিতে বসবাসকারী রাখাইন সন্ত্রাসীরাও ছুরিকাঘাতে মারছে শিক্ষিত রোহিঙ্গা যুবকদের। গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে সেনা-বিজিপির সদস্যরা। রবি ও সোমবার দুইদিনে মংডুর উত্তরের বিভিন্ন এলাকার আরও তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি জালিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে অন্তত ৫০ রোহিঙ্গা রমণীকে।
সূত্র জানায়, শনিবার মংডুর উত্তরে রাম্যাইয়াবিলের দেড় শতাধিক যুবক ও গৃহকর্তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। এদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদের (বিদ্রোহী) অভিযোগ আছে বলে জানায় সেনা সদস্যরা। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আটক লোকদের কোন খোঁজ মিলেনি বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। সোমবার সকালে লুদাইং এলাকার মোঃ ইউনুছ নামে এক যুবককে জবাই করে পার্শ্বস্থ পুরমা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। কেয়ারিপ্রাং এলাকার করিমূলাহর মেয়ে ওয়াজেদা বেগমকে ধর্ষণ করে হত্যা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সেনা সদস্যরা তার ওপর এ অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও গত শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত কেয়ারিপ্রাং-লুদাইং, নাপ্পুরা, ওয়াবেক, বুড়া সিকদার পাড়া ও হাতিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩২ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী ও রাখাইন যুবকরা। এ পর্যন্ত মিয়ানমারে সহিংসতায় ১৭১ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
৩৪৫ নাগরিক মিয়ানমারে ফেরত ॥
টেকনাফ সীমান্তের নাফনদী থেকে মিয়ানমার ৩৪৫ নাগরিককে স্বদেশে ফেরত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নাফনদী সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় এসব মিয়ানমার নাগরিককে বিজিবির টহলদল আটক করেছিল।
বিজিবির ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আবু জার আল জাহিদ জানান, সোমবার ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং ৮৭, উনচিপ্রাং ১১, জিম্মংখালী ২১৩, লেদা ৯ ও দমদমিয়া ২৫ জন সীমান্ত এলাকার নাফনদী দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির টহলদল নাফনদীতে প্রতিহত করে ৩৪৫ মিয়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠায়। নাফনদীর সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নেয়া হয়েছে সতর্ক অবস্থান। অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে বিজিবির নজরদারী বৃদ্ধিসহ সীমান্তের নাফনদীতে মাছ ধরা ও চলাচলে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখতে স্থানীয় ও জেলেদের সচেতন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে প্রায় ৪ শতাধিক নাগরিককে নাফনদীতে প্রতিহত করে ফেরত পাঠায়।
রোহিঙ্গারা ঢুকছে যে ভাবে ॥
টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, লম্বাবিল, কাঞ্জরপাড়া, খারাংখালী, ঝিমংখালী, উনচিপ্রাং, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া, নয়াপাড়া, নাথমুড়া পাড়া, গুদাম পাড়া, ফুলের ডেইল, হোয়াব্রাং, নাইক্ষংখালী, আনোয়ার প্রজেক্ট, উখিয়ার বালুখালী, রহমতের বিল ও তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রাতের বেলায় অনুপ্রবেশের এ ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের পর রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে, লেদা ও কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছে। টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের গৌজিবিল, রাইম্যাবিল, লদাইং ও জাম্বুনিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে আসা কয়েকটি দলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ যাবত মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়ে অধিকাংশ পুরুষদের আটক করে নিয়ে গেছে। তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিবারের অনেককে হত্যা করে ও নারীদের ধর্ষণ করেছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার পর তারা মিয়ানমারের নাফনদী উপকূলে প্যারাবন ও জঙ্গলে অনাহারে অর্ধাহারে বেশ কয়েকদিন কাটানোর পর শেষে জীবন বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানায় তারা।
টেকনাফের বিজিবির ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ আরও জানান, অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সদস্যরা অত্যন্ত সর্তক রয়েছে। তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে অনুপ্রবেশ রোধ করার জন্য। তারপরও কতিপয় দালালদের সহযোগিতায় কিছু কিছু রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এদিকে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কায়সার পারভেজ চৌধুরী জানান, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গেলে সেটা দেশের জন্য বহুমাত্রিক সমস্যা হয়ে দেখা দিবে।
ক্ষোভ ও নিন্দা ॥
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ রাখাইন রাজ্যে সেদেশের সরকারী বাহিনী ও বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে নিধন, তাদের বসতভিটা, দোকান পাট ও সহায় সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়া এবং নিষ্পাপ শিশু ও অসহায় নারীদের নানা নির্যাতনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শূন্য করার ঘৃণ্য কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সদরের ঈদগাঁওর বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন তীব্র ক্ষোভ-নিন্দা জানিয়েছে। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো সুচির সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সেদেশে শতাব্দীর অন্যতম মানবিক বিপর্যয় ঘটানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে মানবাধিকার সংগঠনসহ বিশে^র সকল বিবেকবান মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমন মানবিক বিপর্যয় সত্ত্বেও মুসলিম বিশে^র রহস্যজনক নীরবতায় তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সংগঠনসমূহের নীতিনির্ধারক ও কর্তাবৃন্দ অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ বসবাসের সুযোগ দিতে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতা ও নিন্দা জ্ঞাপনকারী সংগঠনসমূহের মধ্যে রয়েছে ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদ, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা মানবাধিকার কাউন্সিল, বৃহত্তর ঈদগাঁও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঈদগাঁও প্রেসক্লাব, ঈদগাঁও নিউজ ডটকম কর্তৃপক্ষ প্রভৃতি। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন আলহাজ ছব্বির আহমদ এমএ, ডাঃ আবদুল কুদ্দুছ মাখন, মাস্টার নুরুল আজিম, মোঃ শওকত আলম, আলহাজ মোঃ শফি, ছরওয়ার কামাল, মাস্টার গিয়াস উদ্দীন, কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম, রাশেদুল আমির চৌধুরী, বদিউল আলম আকাশ, মিজবাহ উদ্দীন, মোঃ শোয়াইব, ছরওয়ার কামাল, জাফর আলম, এইচএন আলম, মোঃ হামিদুল হক, এম. সরওয়ার সিফা, এম আরমান জাহান, নুরুল আজিম, নাছির উদ্দীন পিন্টু ও জিয়াউল হক জিয়া প্রমুখ।
পাঠকের মতামত