প্রকাশিত: ১৭/০৩/২০১৭ ১০:৫০ পিএম

সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম::

ব্যবসা বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুপ্রতক্ষীত বাংলাদেশ মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার মুখী এ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক (বালুখালী-ঘুনধুম) বর্ডার রোড নির্মাণ’ নামের এই প্রকল্প ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, দ্রুত গতিতে সড়কের শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে।

সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হিসাবে দু’দেশের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে মৈত্রী সড়ক প্রকল্প হিসাবে এর কাজ শুরু করা হয়। প্রথমে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যায় নির্ধারণ করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) ধরা হলেও পরবর্তীতে সড়কটির ব্যায় বরাদ্ধ বেড়ে গিয়ে দাড়ায় ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে উক্ত প্রকল্পটির ব্যায় আরো বাঁড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬ ইসিবি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।এটি নির্মাণ শেষ হলে কক্সবাজার জেলার জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধার আমুল পরিবর্তন হবে বলে স্থানীয় জনগনের ধারনা। এ সড়কটির নির্মান কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ছাড়াও চীন ও থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেবে সরকার। এতে ওই দেশগুলোর সঙ্গে সামাজিক, সংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০০৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতায় প্রাধান্য পায় বালুখালী থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এবং ঘুনধুম থেকে মিয়ানমারের অভ্যান্তরে বাউলিবাজার পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক মানের সড়ক নির্মাণ। পরবর্তী সময় বাউলিবাজার থেকে চত্ত পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করবে মিয়ানমার সরকার। এতে করে চীনের কুনমিংয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। মিয়ানমারের সাথে বানিজ্য সুবিধায় এ সড়কটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। উল্লেখ্য,২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ মিয়ানমারে রপ্তানি করে ১ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য, আর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয় ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য।

পাঠকের মতামত

মৎস্য খাতের অগ্রযাত্রায় নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ

মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে নেদারল্যান্ডস সরকার। বিশেষত কৃষি ও জলজ ...

সন্তান কোলে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে, পরকীয়ায় স্ত্রী পালানোর ‘জবাব’ দিলেন স্বামী

দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ এলে অনেকেই ভেঙে পড়েন, অনেকে দীর্ঘ সময় বিষণ্নতায় কাটান। তবে মুন্সিগঞ্জের কামাল ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার করণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিশেষ ...

নাফ নদের ৩৩ কি.মি. ও সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ২০ কিমিতে বসেছে ৬ রাডারসীমান্ত ও সমুদ্রে নজরদারিতে রাডার ড্রোন থার্মাল ক্যামেরা

এবার দেশের সীমান্ত ও সমুদ্র সুরক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নজরদারি রাডার, ড্রোন ও থার্মাল ক্যামেরা যুক্ত ...

তদন্তের নির্দেশ চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজিকেটেকনাফে হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দিল পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি হত্যা মামলার এজাহার পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে আদালতে মামলা ...