৯ নভেম্বর দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায়’উখিয়ায় হতদরিদ্রের ১০ টাকার চাল পাচ্ছে বিত্তবানরা-একাধিক কার্ডধারী অস্তিত্বহীন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।সংবাদে উখিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুনিল দত্তের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে পালংখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়নি।এর পরেও জনৈক ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত দিয়ে নিজের অপকর্ম ঢাকাতে এতসব অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।প্রকৃত পক্ষে ভুট্টোর রাজনৈতিক উত্থান কলংকজনক।সে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থেকে চুরি,ছিনতাই, দাংগা হাংগামা সংঘঠন, রাহাজানি,মাদক ও ইয়াবা পাচার.শালিস বিচারের নামে অর্থ আদায়,বিভিন্ন দপ্তর, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় ,সরকারি পাহাড় কেটে বনভুমি বিক্রি, খাঁস জায়গা ও পিএফ বনভুমি দখল, মেম্বার থাকাকালে সরকারী অর্থ তছরুপ,কবরস্থানের পাহাড় কেটে বিলাসবহুল বসত বাড়ি নির্মাণ, আপন সহোদর বড় ভাইকে দিয়ে জংগী সংশ্লিষ্টতায় আর্থিক সুবিধা ভোগ,সাবেক আরএসওর পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন,দিনের বেলায় আওয়ামীলীগ সেজে রাতের বেলায় বিএনপি জামায়াতের সাথে গোপন নাশকতায় জড়িত হয়ে সরকার বিরোধী অবস্থান. আত্মীয়সজনদের নিয়ে বাহিনী সৃষ্টি করে দেশ,সমাজ ও গন বিরোধী বহুমুখী অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। নিজেদের নানা অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে আওয়ামীলীগের পদপদবী ব্যবহার করে অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছে একজন সাধারণ বৈদ্য ওজার পুত্র থেকে। সরকার দলের ছত্রছায়ায় থেকে মেম্বার হওয়ার সুবাধে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তত কয়েক কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা উখিয়া থানার ১৫/১৬৭,১৬/১৬৮,১৭/১৬৯ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চলতি বছর শুরুতেই আপন মামা হাজী আবদুল মজিদকে খুনের চেষ্টা চালিয়ে একটি চক্ষু কেটে নিয়ে অংগহানিসহ আরো ৭/৮জনকে কুপিয়ে জখম করে ভুট্টো বাহিনী।এঘটনায় উখিয়া থানার মামলা নং – ১৪/১৬।আমার নিকট চাঁদা দাবীর উখিয়া থানার জিডি নং – ১৮৫/১৬। উখিয়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর নিশার মোটর সাইকেল পোড়ানোর কোর্ট মামলা উখিয়া থানায় তদন্তাধীনসহ অন্তত দেড়ডজনের মামলা ও বহু অভিযোগ দুদক প্রধান দপ্তরসহ সরকারের বহু সংস্থায় রয়েছে।গত ইউপি নির্বাচনে উক্ত ভুট্টো পরাজিত হয়ে পাগলা কুকুরের মত সরকার বিরোধী নানা অপকর্ম সংঘটিত করে ক্লান্ত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নজির আহমদ চৌধুরীর পরিবারের জনপ্রিয়তায় ইশান্নিত হয়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নুরুল আবছার চৌধুরীর বিরুদ্ধে শুধু নয় বৃহত্তর বালুখালীর জনগণ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার কর্মসুচী ১০ টাকার চাল বিতরণ বাধাগ্রস্ত ও এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদির উন্নয়ন বিরুধী ভুমিকায় লিপ্ত হলেন ফকা ভুট্টো।অথচ নুরুল আবছার চৌধুরী পালংখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান (১নং ওয়ার্ডের মেম্বার) ,উখিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বালুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি,ঘুমধুম বালুখালী সীমান্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বালুখালী আদর্শ ইয়ং স্টার ক্লাব,সোস্যাল স্টুডেন্ট ক্লাব, ঘুমধুম বালুখালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও উখিয়ার ঘাট কাস্টমস স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা,প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নজির আহমদ চৌধুরী স্নৃতি ফাউন্ডেশন,যুগ্ম আহবায়ক উখিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড, সভাপতি কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়ার ঘাট বনবিট আওতাধীন সৃজিত ২০১২-১৩ সনের সামাজিক বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটি সহ বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সততা – নিষ্ঠা ও সুনামের সহিত দায়ীত্ব পালন করছেন।আমি উক্ত ফাকা ভুট্টোর সৃজিত মিথ্যাচার ও সংবাদে সরকারের পদস্থ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করে জোর প্রতিবাদ এবং নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
বিবৃতিদাতা
নুরুল আবছার চৌধুরী
ইউপি সদস্য ১নং ওয়ার্ড
প্যানেল চেয়ারম্যান
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ
পাঠকের মতামত