প্রকাশিত: ০১/১২/২০১৬ ৭:২১ এএম

dscn0886নুরুল আমিন হেলালী;;

পর্যটন শহর কক্সবাজারের অভ্যন্তরীণ অনেক সড়ক ও আবাসিক এলাকায় সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকার হয়ে যায়। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কবাতি থাকা সত্ত্বেও সেসবের বেশির ভাগই রাতে জ্বলে না। যার ফলে পর্যটন শহরে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িতরা নির্র্বিঘেœ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সরেজমিনে রাতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। পর্যটন শহরের এই বিশাল অংশ দিয়ে রাতে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের নির্ভর করতে হচ্ছে যানবাহন আর পাশের বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্টানের আলোকবাতির ওপর। শহরের পর্যটন জোনখ্যাত কলাতলী, বাহারছড়া, বিমানবন্দরসড়ক, হোটেল-মোটেল এলাকা, হাসপাতাল সড়ক, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, বৈদ্ধঘোনা, ঘোনাপাড়া, তারাবনিয়ার ছড়া, পাহাড়তলী, রুমালিয়ার ছড়া, টেকপাড়া, লালদিঘির পাড়, থানার পেছন রোড়, গাড়ির মাঠ, ঝিলংজা, এস এম পাড়া, শহীদ শরণীসড়কসহ বিভিন্ন অলিগলির কিছু কিছু অংশে বাতি নেই আবার অনেকাংশে বাতি থাকলেও জ্বলে না ফলে রাত নামলেই অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। এছাড়া বাহারছড়া গোল চত্ত্বর থেকে স্টেডিয়ামের সংযোগ সড়কের মূখ পর্যন্ত সড়কের অনেক স্থানে বাতি জ্বলে না। এভাবে শহরের বেশ কিছু এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই রাস্তাগুলো অন্ধকারে ডুবে যায়। এতে ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িতদের হয়েছে পোয়াবারো। তারা এসব স্থানে ওত পেতে থেকে নির্বিঘেœ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আবার থানার পেছন সড়কে চারটি বাতি থাকলেও কয়েকটি জ্বলে না। এছাড়া গোলদিঘির পাড়ের কয়েকটি সংযোগ সড়কের কিছু অংশ রাতে পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার অনেক রাস্তায় বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্টানের সাইনবোর্ডের আলোয় পথচারীদের ভরসা। অসমর্তিত সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের প্রতিটি সড়কের ল্যাম্পপোষ্টে এনার্জি সেভিং বাল্ব ও সৌরবিদ্যূত প্রকল্পের মাধ্যমে এনার্জি বাল্ব লাগানোর কথা থাকলেও তা আংশিক কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে শহরের কয়েকদিনের মাথায় কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘটিত অপতৎপরতায় রাতে চলাচলে কুন্ঠাবোধ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অপরদিকে পর্যটন শহরে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন রাত-দিন কাজ করলেও অপর্যাপ্ত সড়কবাতির কারণে অনাকাঙ্খিত অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ খোদ রাতে দ্বায়িত্ব পালনকারী পুলিশের। পর্যটন মৌসুম আসন্ন তাই এর আগেই শহরের প্রতিটি অলিগলির যে বাতিগুলি জ্বলে না সেগুলি চিহিৃত করে রাতে মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...