![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2017/04/3-Arrest-With-Yaba20170417115326.jpg)
কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা পাচারকারিদের সঙ্গে আবারো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ একজনসহ মিয়ানমারের তিন নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজিবির ৪ সদস্য।
সোমবার সকালে ও ভোর রাতে টেকনাফের নাইটংপাড়া ও জালিয়ারদ্বীপ এলাকায় বিজিবি পৃথক অভিযান চালায়। এসময় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৬ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি জোয়ানরা। কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. রকিবুল হক তথ্যটি জানিয়েছেন।
আটকরা হলেন-মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকার মুহাম্মদ ইউনূচ (৪৫), মুহাম্মদ নুরুল হুদা (৩০) ও মুহাম্মদ আনোয়ার (২৭)। তাদের মাঝে গুলিবিদ্ধ মুহাম্মদ ইউনূচকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
তাদের সঙ্গে থাকা স্বশস্ত্র মুহাম্মদ মাহকাজ (৩৫) নামে একজন বোট নিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সূত্রের বরাদ দিয়ে সেক্টর কমান্ডার জানান, নাফনদীর নাইটংপাড়া সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে গোপন সংবাদে এমনটি জানার পর সকাল সাড়ে ৫টার দিকে একটি টহল দল নাফ নদীর নাইটংপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান দিয়ে একটি বোট নিয়ে কয়েকজন লোক এপারে আসে।
একটি বস্তাসহ তিনজন বোট থেকে নামারকালে তাদের দাঁড়াতে বলে অভিযানকারীরা। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোট থেকে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পরে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বোটে থাকা স্বশস্ত্র একজন বোট নিয়ে দ্রুত মিয়ানমারের দিকে চলে যায়। পরে জোয়ানরা একজন গুলিবিদ্ধসহ মিয়ানমারের তিন নাগরিককে আটক করে।
তাদের কাছ থেকে ইয়াবাভর্তি একটি বস্তা জব্দ করা হয়। তা খুলে সেখান থেকে দেড় লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। আটকদের কাছ থেকে ২টি তাজা কার্তুজও জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানকালে বিজিবির ৪ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন সেক্টর কমান্ডার। তাদের বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করলেও আহত বিজিবি সদস্যদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। আটকদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান বিজিবি কর্মকর্তা।
অপরদিকে, একইদিন রাত ২টার দিকে নাফনদীর জালিয়ারদ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবাপাচারকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকরা ইয়াবার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা এবং তা ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে বলে জানান টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ।
পাঠকের মতামত