প্রকাশিত: ২০/০৯/২০১৭ ৮:৪৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:১৭ পিএম

৬ সন্তানের জননীকে দু মুঠো ভাতের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করতে হয়। ৬ সন্তানের প্রত্যেককে কম-বেশি শিক্ষিত। তাদের মধ্যে ৩ সন্তান এ এস আই ও একমাত্র কন্যা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। অন্য ২ সন্তানের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অন্যজন ইজি বাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এই বৃদ্ধা মোসা. মনোয়ারা বেগমের (৭০) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সরদারের স্ত্রী। ২০১৪ সালের পহেলা অক্টোবর মারা যান আইয়ুব আলী সরদার।

৪-৫ মাস আগে ভিক্ষা করতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে যান মনোয়ারা বেগম। এ সময় তার কোমরের হাড় ভেঙে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাবুগঞ্জে স্টিল ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তের একটি খুপড়ি ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।

ফারজানা বিনতে ওহাব (জেলা পরিষদের সদস্য) সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ডাক্তার নিয়ে বাবুগঞ্জের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে মনোয়ারা বেগমের জীর্ণ কুটিরে হাজির হন। ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ইউএনও ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সোমবার তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

মনোয়ারা বেগমের পুত্র ইজিবাইক চালক গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘আমি সামান্য আয়ের মানুষ কোনো রকম খেয়ে পরে বেঁচে আছি, আমার সাধ্যমতো মাকে চিকিৎসা দেবার চেষ্টা করছি। আমার তিন ভাই পুলিশ অফিসার। তারা তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র থাকেন। তারা মায়ের কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। ভরণ-পোষণের দাবিতে মনোয়ারা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত বছর একটি আবেদন করেন।

পাঠকের মতামত