ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০২/০৫/২০২৪ ৩:৩৯ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ড চাইলে আমাদের দীর্ঘ ৮০ মাইল সমুদ্র সৈকতে জায়গা দেবো। কারণ থাইল্যান্ড পর্যটনের দিক থেকে অনেক অগ্রগামী। সে অভিজ্ঞতাটাও আমরা নিতে পারি। এজন্য তারা আমাদের বালুময় সমুদ্র সৈকতে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জায়গা দেওয়া হবে।

থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরের ফলে থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার এবং সার্বিক উন্নয়নের একটা নতুন দুয়ার খুলে গেল। সেখানে একটা ভালো সুযোগ সৃষ্টি হলো। আপনারা জানেন যে, আমাদের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা, যোগাযোগ, মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ, সার্বিকভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই বন্ধনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ডের ফল ও খাদ্য উৎপাদনে অনেক গবেষণা আছে। আমরা এসব ক্ষেত্রে মতবিনিময় করেছি। দুই দেশের মধ্যে এইসব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমাদের চট্টগ্রাম থেকে থাইল্যান্ডের বন্দরের সাথে সরাসরি কার্গো নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, আমি মনে করি, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। যেহেতু থ্যাইল্যান্ড আশিয়ানভুক্ত দেশ এবং বর্তমানে বিমসটেকের সভাপতি। বিমসটেক আমরাই প্রতিষ্ঠা করেছিলাম এবং আমি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আছি। আমি আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বেশি গুরুত্ব দেই। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। এই সফরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলছে ভারত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ...

ড. ইউনুস যে কারণে চলে যেতে চান

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ...

আরাকান আর্মি ও জান্তার সঙ্গে সমন্বয়ে সহায়তা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় দেশটি আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের ...

রোহিঙ্গাসহ মানবিক খাতগুলোতে নরওয়ের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন মানবিক খাতে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখার ...