জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ::
টেকনাফে ত্রাণ নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। এসময় রোহিঙ্গাদের জন্য আনা (নন ফুড আইটেম) ত্রাণ লুটের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লেদা টাওয়ার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লোকজন টাওয়ার এলাকায় (আইওএম) আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে খবরে ত্রাণ নিতে গিয়েই মারধরের শিকার হয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন। লোকজন জানায়, আইওএম‘র কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ক্যাম্পে গাড়ী ঢুকানো যাচ্ছেনা বলে রোহিঙ্গাদের সড়কে ত্রাণ নিতে আসতে বলেন। মহাসড়কে ত্রাণ নিতে আসা মাত্রই হুড়াহুড়ি এবং বিশৃখলা করে ট্রাক ভর্তি পুরো মালামাল মুহুর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। লেদা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ত্রাণ বিতরণকারী লোকজনসহ ট্রাকটি উদ্ধার করেন। এর আগে হুড়াহুড়ি এবং ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আহত এবং ত্রাণ লুট হয়। খবর পেয়ে টেকনাফ ইউএনও এবং ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সভাপতি ডা: দুদু মিয়া জানান, ভাগ্য খুবই বেশী ভাল। আল্লাহ বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে বাঁচিয়েছেন। হুড়াহুড়ি এবং ত্রাণ লুটের সময় বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। এনজিও কর্মকর্তা আলী ক্যাম্পে গাড়ী ঢুকানো যাচ্ছেনা অজুহাতে রোহিঙ্গাদের সড়কে নিয়ে গেছেন জানিয়ে তিনি এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ ঐ কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। অপর রোহিঙ্গা নেতা হাফেজ আয়ুব হতাশার সুরে বলেন, ভাই কিছুই বলতে পারছিনা। হাত-পা অনেকটা বাঁধা জানিয়ে এই রোহিঙ্গা নেতাও ঘটনার জন্য এনজিও কর্মকর্তা আলীকে দায়ী করছেন। আইওএম‘র প্রতিনিধি আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনা সত্য স্বীকার করে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। দু:খজনক এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
কক্সবাজারের রামু, উখিয়া এবং টেকনাফে বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ পল্লিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের ...
পাঠকের মতামত