টেকনাফ প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর ও গুলির ভয় দেখানোর অভিযোগে পাঁচ বিজিবির সদস্যকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয় পাশে প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকে। পরে দোষীদের বিচারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
![1478793893](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/11/1478793893.jpg)
তবে বিজিবির কয়েক সদস্য জানান, তারা শিক্ষার্থীদের কোনো মারধর করেননি। জাহাজ থেকে নামার সঙ্গে এক ব্যক্তির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা বিষয়টি জানতে চাইলে কয়েক শিক্ষার্থী ইংরেজিতে তাদের গালিগালাজ করেন। এছাড়া আর কিছু হয়নি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্দাথ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুভ রুদ্র ঘোষ ও মো. ইমরান চৌধুরী বলেন, টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে থেকে কুতুবদিয়া জাহাজঘাটে আমাদের নির্ধারিত বাসের দিকে যাওয়ার সময় এক বিজিবি সদস্য আমাকে পিঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর বিজিবির এক সদস্য আমাকে গুলি করার ভয় দেখায়। তখন আমাকে রাইফেল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনা দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে তাদের লাঠিপেঠা ও শারিরীকভাবে নিযার্তন করা হয়। এতে ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
ঘটনার সঙ্গে বিজিবি সদস্য হারুন, ইমরান, সবুজ, আহমদসহ পাঁচজন জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় শিক্ষক বদরুন নাহারসহ আটজন শিক্ষার্থী বিজিবির উপ অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ সময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উপপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপরে টেকনাফ ২ বিজিবির উপ অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী বলেন, ঘটনার অভিযুক্তদের সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত