টেকনাফে এক পুলিশ কনস্টেবলের রাজসিক বিয়ে আয়োজনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া এলাকায় গত সোমবার ওই পুলিশ কনস্টেবলের এ রাজকীয় বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। বিপুল টাকা খরচে এ বিয়ে আয়োজনের বিষয়টি এলাকার লোকেমুখে ঘুরেফিরে আলোচিত হচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এ বিয়েতে অন্যান্য খরচ বাদে শুধুমাত্র গেইট ও আলোকসজ্জা বাবদ ১০ লক্ষাধিক টাকা খরচ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হারুন সিকদার এবং পুলিশ কনষ্টেবলের প্রতিবেশী বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, টেকনাফের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এ রকম রাজকীয় বিয়ে আর হয়নি। এ বিয়ের অনুষ্ঠানটি সপ্তাহ খানেক ধরে চলেছে প্রতিদিনই শত শত লোককে ভুরিভোজের মাধ্যমে। বিয়ের অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে মনে করেন তারা। তারা আরো জানান, পুলিশ কনষ্টেবলের সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গোপন হাত রয়েছে। তার ঘনিষ্ট তিন নারী আত্মীয়ের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয় লাখ লাখ টাকা। শুধু তাই নয় মাসব্যাপী চলে বিভিন্ন আয়োজন। সপ্তাহজুড়ে রাতের বেলা চলে নর্তকীসহ গান-বাজনা। জানা গেছে, বছর তিনেক আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদান করেন হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার কৃষক তোরাব আলীর ছেলে হারুন। এর পর অলৌকিক ভাবে রাতারাতি কোটিপতিতে পরিণত হন তিনি। মাত্র তিন বছরের মধ্যে দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে তিনি এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এর পর রাজকীয় এ বিয়েতে এলাকায় তোলপাড় চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই পুলিশ কনস্টেবল বর্তমানে কুমিল্লা এলাকায় কর্মরত আছেন। আবার অনেকে বলেন তিনি সাসপেন্ড হয়েছেন। তবে চাকরির পর থেকে তিনি নানা কারণে এলাকায় আলোচিত হয়ে আসছেন। কর্মস্থল থেকে ছুটিতে আসার সময় পুলিশের পোশাকে আসা-যাওয়াসহ নানা কারণে তাকে নিয়ে আলোচনা চলতো এলাকায়। এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলে দেওয়া পোস্ট নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় উঠে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হারুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণের জন্য, চাঁদাবাজির জন্য নয়। রাজনীতি হবে মানুষের সেবার জন্য, দখল দারিত্বের ...
পাঠকের মতামত