প্রকাশিত: ২০/০৮/২০১৬ ৭:৪৭ এএম

FB_IMG_1471627878697সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ::
টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়ায় এ বছর সর্বপ্রথম উচ্চ ফলনশীল (উফশী) আউশ ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আশাতীত ফলন হওয়ায় কৃষকগণও অত্যন্ত খুশী। উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের চাষাবাদ হওয়ায় টেকনাফ উপজেলা ৩ ফসলী জমির আওতাভুক্ত হলো। ধানের ফলন ও উৎপাদন দেখে কৃষককুলে রীতিমত সাড়া জেগেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে কখনো আউশ ধানের চাষাবাদ টেকনাফে হয়নি। এ বছর খরীপ-১ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) আউশ ধান চাষে প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় এবারই প্রথম পরিক্ষামুলকভাবে টেকনাফ উপজেলায় আউশের চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা এই ৩টি ইউনিয়নে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে রাজী করিয়ে মোট ৫০ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের চাষাবাদ করা হয়। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ ধান, ২০ কেজি করে ইউরিয়া সার, ১০ কেজি করে পটাশ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং সেচ বাবৎ ৪০০ করে টাকা দেয়া হয়েছে। ধানের জাতগুলো ছিল ব্রিধান-২৬, ব্রিধান-৪৮, ব্রিধান-৪২, ব্রিধান-৫৫ এবং কুদরত। প্রথম বারের মতো আউশ চাষাবাদ করে কৃষকগণ আশংকায় ভুগলেও আশাতীত ফলন হওয়ায় কৃষকগণও অত্যন্ত খুশী হয়েছেন। ধানের ফলন ও উৎপাদন দেখে কৃষককুলে রীতিমত সাড়া জেগেছে বলে জানা গেছে।
১৭ আগস্ট মাঠ পর্যায়ে আনুষ্টানিকভাবে শস্য কর্তন করা হয়। ২০ বর্গ মিটার জমির ধান কর্তন করে ১০ কেজি ধান পাওয়া গেছে। যা প্রতি হেক্টরে ৪.৫ টন ধান ও প্রায় ৩ টন চাউল পাওয়া যাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার উপ-পরিচালক আ. ক. ম. শাহরিয়ার, টেকনাফ স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক ড: আসাদুজ্জামান বুলবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা (এসএপিপিও) আলী আহমদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এটিএম নুরুল আলম, তাপস বড়–য়া, সনজিৎ কুমার দাশ, মোঃ শফিউল আলম কুতুবী, মোস্তাক উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, শেখ জামাল উদ্দিন, সরওয়ার কাদের, মোঃ জাকারিয়া ও কামরুল হাসান, পরিসংখ্যান সহকারী নুরুল আবছার, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কৃষকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাহারছড়া শামলাপুর পুরান পাড়া গ্রামের কৃষক করিম উল্লাহ, কেফায়ত উল্লাহ, নুর উল্লাহ, মঞ্জুর আলম, আলী আহমদ, আবু তাহের, মোঃ আলী, আবদুল করিম, ছলিম উল্লাহ, ছৈয়দ আহমদ বলেন আমরা যুগ যুগ ধরে জমিতে আমন ও বোরো চাষাবাদ করতাম। উপজেলা কৃষি অফিসার, ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমাদেরকে বুঝিয়ে উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের চাষাবাদ করিয়েছেন। এতে আমরা আশাতীত উপকৃত হয়েছি। এখন আমরা আউশ কেটে আবার রোপা আমন চাষাবাদ করছি। আমাদের জমি দুই ফসলী থেকে তিন ফসলী হয়ে গেছে। এ বছর ১০ মার্চ যোগদানকৃত টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ভুগর্ভস্থ পানির চাপ কমিয়ে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ ও খাদ্য শষ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে খরীপ-১ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) আউশ ধান চাষে প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় আউশ ধান চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...