প্রকাশিত: ২২/০১/২০২০ ৯:৫৪ এএম

বিশেষ প্রতিনিধি::
মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্বিতীয় দিনের মত ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) দুপুরে কুতুপালং-১ ইষ্ট ও ওয়েষ্ট ক্যাম্পে রোহিঙ্গা মুসলিম ও খ্রিস্টান রোহিঙ্গাদের সাথে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে মিডিয়া কর্মীদের এড়িয়ে যান ইয়াং হি লি।
রোহিঙ্গাদের বিতর্কিত সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিব উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কুতুপালং – ১ ওয়েষ্ট লম্বাশিয়া ক্যাম্পের এআরএসপিএইচ অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মুহিব উল্লাহ বলেন, সামনে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন, এতে আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এখানে আমাদের সংস্কৃতি, পরিবেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে আমাদের ছেলে মেয়েরা। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পুর্ণ নাগরিকত্ব, অবাধে চলাচল, সহায় সম্পত্তি ফেরত, স্কুল-কলেজে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াসহ প্রভৃতি বিষয়ে মিয়ানমার সরকার আমাদের নিশ্চয়তা প্রদান করলে ফিরতে রাজি বলে ইয়াং হি লি কে অবহিত করেন রোহিঙ্গারা।
এর পর ক্যাম্প লম্বাশিয়া- ২ ইস্ট এ বসবাসরত ৪০ জন রোহিঙ্গা খৃষ্টানদের সাথে কথা বলেন। তারাও একই দাবী উত্থাপন করেন। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন রোহিঙ্গা নেতা জাফর আলমের ঘরে শান্তি মহিলা কমিটির ব্যানারে ১৬ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষের সাথে পৃথক বৈঠক করেন।
এসব বৈঠকে ক্যাম্পের পরিস্হিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিভিন্ন সমস্যা মধ্য ক্যাম্পে বসবাস করা দুস্কর হয়ে পড়েছে বলে রোহিঙ্গারা ইয়াং হি লি কে জানান। তারা যাতে দ্রুত মিয়ানমারে ফেরৎ যেতে পারে সে ব্যবস্হা নেয়ার দাবী করা হয়। মহিলা নেত্রী হামিদা বেগম বলেন, এখানকার মানুষের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত তিনদিনের সফরে রোববার বিকেলে কক্সবাজার আসেন জাতিসংঘের মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা তার এ সফরের মূল উদ্দেশ্যে বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত