
৩৮ ঘণ্টা কেটে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দুই দম্পতিসহ ১০ জনের মৃত্যুর। এই ঘটনা আহত দুইজনের একজন কলেজছাত্রী তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা। রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রেমা শঙ্কামুক্ত নন।
এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার মিরপুরের রফিকুল ইসলাম শামীম ও লুৎফুন নাহার সুমি দম্পতি এবং তাদের দুই মেয়ে আনীসা আক্তার (১৪) ও লিয়ানা (৮)। শামীমের ভাগনি তানিফা ইয়াসমিনও প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। গুরুতর আহত হয়ে এখন অচেতন অবস্থায় রয়েছেন শামীম-সুমি দম্পতির বড় মেয়ে তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা (১৮)। তাকে চমেকের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) আইসিইউর সামনে কথা হয় জেসমিন রহমানের সঙ্গে। তিনি সম্পর্কে প্রেমার ছোট মামী। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জেসমিন বলেন, ‘এ কি হয়ে গেল! মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই পরপারে চলে গেল। সেও এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এখনও জ্ঞান ফেরেনি। আল্লাহ’র কাছে প্রেমার জীবনটি ভিক্ষা চাই।’
আইসিইউর এক চিকিৎসক জানান, প্রেমার অবস্থা বেশ খারাপ। ৩৮ ঘণ্টা পার হলেও তার জ্ঞান ফেরেনি। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে রয়েছেন শিশু আরাধ্য, প্রাণ হারিয়েছেন তার বাবা দিলীপ কুমার ও মা সাধনা রানী।
পাঠকের মতামত