নিউজ ডেস্ক::
চকরিয়ায় বাড়িতে স্ত্রীকে রেখে শ্বাশুড়িকে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় আদালত মেয়ের জামাতাকে দুই বছর এবং শ্বাশুড়িকে একবছর কারাদন্ড দিয়েছেন। গতকাল সোমবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মেয়ের জামাতার নাম গৌরাঙ্গ দাশ (৫০)। তিনি চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট স্টেশন এলাকার বাসিন্দা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীর মৃত হরিশ চন্দ্র দাশের ছেলে। অপরদিকে একবছরের দন্ডপ্রাপ্ত শ্বাশুড়ির নাম সন্ধ্যা রাণী দাশ (৫৫)। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী গ্রামের মৃত সাধন চন্দ্র দাশের স্ত্রী এবং দুই বছর কারাদন্ডপ্রাপ্ত গৌরাঙ্গের আপন শ্বাশুড়ি।
গতকাল রায় ঘোষণার আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গৌরাঙ্গ। রায় ঘোষণা শেষে গৌরাঙ্গকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক। অবশ্য শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রাণী বর্তমানে পলাতক আছেন।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী গ্রামের মৃত সাধন চন্দ্র দাশের কন্যা লাকী দাশকে বিয়ে করেন চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট স্টেশন এলাকার গৌরাঙ্গ দাশ। তাদের সংসারে এক পুত্র ও এককন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০৫ সালের প্রথমদিকে গৌরাঙ্গ দাশ তার আপন শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রাণী দাশকে মালুমঘাটস্থ বাড়িতে এনে রাখেন। এরপর থেকে শ্বাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা শুরু করলে খোদ পরিবার সদস্যরা তা দেখে ফেলে। এনিয়ে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হলে শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রাণীকে নিয়ে পালিয়ে যায় মেয়ের জামাতা গৌরাঙ্গ দাশ। পরবর্তী সময়ে মেয়ের জামাতা গৌরাঙ্গ দাশের সাথে শ্বাশুড়ির সন্ধ্যা রাণী দাশের মধ্যে বিয়ে হয়।
এ ঘটনায় স্বামী গৌরাঙ্গ ও মা সন্ধ্যা রাণী দাশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন কন্যা লাকী দাশ। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তৎকালীন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন তদন্তের জন্য। দীর্ঘ তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে ২০১১ সালে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া।
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী মো. লুৎফুল কবির বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর ও জঘন্যতম এই ঘটনার মামলায় আদালতের বিচারক আজ (গতকাল) রায় ঘোষণা করেন। রায়ে গৌরাঙ্গ দাশকে ৪৯৪ ও ৪৯৭ ধারায় এক বছর করে দুই বছর এবং শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রাণী দাশকে ৪৯৪ ধারায় এক বছর কারাদন্ড প্রদান করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার অভিযানে গিয়ে র্যাব ...
পাঠকের মতামত