প্রকাশিত: ২৬/০৯/২০২১ ৯:১২ এএম , আপডেট: ২৬/০৯/২০২১ ৯:৩২ এএম

মাহাবুবুর রহমান::
এনজিওতে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য তরুন তরুনী থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে শহরের এক প্রতারক পরিবার। এদিকে চাকরীর জন্য বিপুল টাকা দিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছে ভোক্তভোগীরা। এ ঘটনার কক্সবাজার সদর থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভোক্তভোগীরা।
জানা গেছে কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্টেক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ঝুমিরা নাহিদা আজাদ এবং তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র এনজিওতে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে উধাও হয়ে গেছে। বর্তমানে তাদের মোবাইল সংযোগ বন্ধ রয়েছে এবং ঘরেও তালাবদ্ধ। এতে চরম বিপাকে পড়েছে বিপুল চাকরীর প্রত্যাশায় টাকা দেওয়া যুবক যুবতীরা। কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের করা মামলার বাদী পশ্চিম বাহারছড়ার মোঃ ওসমান সরওয়ার জানান,ঝুমিরা নিজে তার মেইল থেকে ভুয়া নিয়োগ পত্র এবং কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম এবং আইডি ব্যবহার করে আমাদের কাগজ পত্র সরবরাহ করে চাকরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। আমি সহ অসংখ্য যুবক যুবতী থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা স্বামী স্ত্রী এখন পালিয়ে গেছে। হুসনে আরা নামের এক ভোক্তভোগী বলেন,আমি নিজেও টাকা দিয়েছি এবং এক বান্ধবীও প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়েছে। আমরা এখন পথে বসার মত অবস্থা। এখন পরিবারেও আমাদের মারাত্বক সমস্যা হচ্ছে। একজন মেয়ে মানুষ এত বড় প্রতারক হতে পারে সেটা কখনো কল্পনাও করিনি। ঝুমিরার সাথে তার স্বামী তৌহিদ সব সময় থাকতো এবং তৌহিদের পরামর্শে সে সব কাজ করছে। আমাদের জানা মতে ঝুমিরা সহ তার শশুর বাড়ির সবাই স্থানীয় তাদের অনেক সহায় সম্পদ আছে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্টান দায়িত্ব নিয়ে আমাদের টাকা গুলো উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হোক। না হয় আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর পথ থাকবে না। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের বৈল্লা পাড়ার এক নারী বলেন, ঝুমিরা এবং তার স্বামী বলতো তাদের সাথে ক্যাম্পের বিভিন্ন সিআইসি বা সচিবদের সাথে যোগাযোগ আছে। তারা চাইলে যে কাউকে চাকরী দিতে পারে। সে জন্য তাদের টাকা দিতে হবে। আমাকে তারা আমার মেইল আইডিতে নিয়োগ পত্রও পাঠিয়েছে, সেখানে আমার বেতন ধরা হয়েছে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা। সেটা বিশ^াষ করে আমি ২ লাখ টাকা দিয়েছি। তাও প্রতিবেশী থেকে ধার নিয়ে যা আমার পরিবারও জানেনা। এখন দেখছি সব কিছু ছিল ভুয়া,তারা অনেক জনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়েছে। এখন চিন্তাই আমি ঘুমাকে পারিনা। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
এদিকে কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের করা মামলায় শহরের বার্মিজ স্কুলের সংযোগ সড়কের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ পুইত্যার মেয়ে ঝুমিরা নাহিদা আজাদ,তার স্বামী মমতাজুল হকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ এবং তৌহিদের পিতা মমতাজুল হককে আসামী করা হয়েছে জানিয়ে সদর থানার ওসি শেখ শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান,এনজিওতে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন জন থেকে বেশ কিছু টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের সনাক্ত করার চেস্টা চলছে। আসা করছি দ্রæত আসামীদের আইনের আওতায় আনা যাবে।

পাঠকের মতামত

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার

অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ, সড়কের পাশের ময়লা এবং সমুদ্র ...

বাণিজ্য মেলা দেখে থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের আরোহী তিন বন্ধু নিহত

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের আরোহী তিন বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ...