
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ ঈদের আগেও থাকবে কি না, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। যদি করোনা-সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি পরামর্শ দেয়, তাহলে চলমান বিধিনিষেধ আরও এগিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছানো যায়নি বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
রবিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ঈদের আগে বিধিনিষেধ বাড়ানো হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জীবনে অনেকবার ঈদ আসবে যদি বেঁচে থাকি। এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, ঈদের আগে গণপরিবহন চলবে কি না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি বিধিনিষেধ চলমান থাকে, তাহলে সেই সুযোগ নেই। আর যদি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে কীভাবে… সীমিত আকারে হলে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলবে। যদি পুরোপুরি উঠে যায়, তাহলে পুরোপুরি চলবে। তবে তিনি মনে করেন, এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছানো যায় নি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা বন্দরের সব কর্মীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। আগামী বুধবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে ১২ হাজার কর্মীকে টিকা দেয়া হবে।
পাঠকের মতামত