প্রকাশিত: ০৫/১১/২০১৬ ৭:৫৭ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

উখিয়ার ব্যবসায়ী দিদারুল আলমের বৃদ্ধ বাবাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে নেওয়া হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়েছে তাঁকে। তিনি হাসপাতালের সড়ক থেকে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স অনেক দরদাম করে ঠিক করেন। এ জন্য আট হাজার টাকা গুনতে হয়েছে তাঁকে।

গত বুধবার সকালে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রথম আলোকেদিদারুল আলম বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পেলে তাঁর খরচ হতো সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা জমজমাট রাখতে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স অচল রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দুই মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে দুটি। এর মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। দ্বিতীয় অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিনে দুই মাস আগে সমস্যা দেখা দেয়। সেটিও চলছে না। এ সুযোগে ব্যক্তিমালিকানার অ্যাম্বুলেন্সগুলো রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক আবদুর রব বলেন, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স বলেই দেখভালের কেউ নেই। একটি অ্যাম্বুলেন্স বছর খানেক ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেই।

গত ২৫ অক্টোবর সদর হাসপাতালে মাকে ভর্তি করেন রামু উপজেলার চাকমারকুল গ্রামের মো. শাহাজান। ২৮ অক্টোম্বর তাঁর মাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। নয় হাজার টাকায় একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তিনি। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একই ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী গ্রামের সাইফুল ইসলামকে। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থাকবে না, এটা হতে পারে না।

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলেও এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানান সিভিল সার্জন পু চ নু। তিনি বলেন, এসব অ্যাম্বুলেন্সের লাইসেন্স স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেয় না।

সদর হাসপাতালকেন্দ্রিক বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে প্রায় ৩৫টি। অ্যাম্বুলেন্সগুলো শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়ক, ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর সারিবদ্ধ করে রাখা হয়। এসব অ্যাম্বুলেন্সের বেশির ভাগই মাইক্রোবাস কেটে তৈরি করা বলে জানান চিকিৎসকেরা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এস এম আবু সাঈদ বলেন, অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স দুটি মেরামত করা যাচ্ছে না। রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, দ্রুত দুটি অ্যাম্বুলেন্স মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই হাসপাতালে আবার অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...