প্রকাশিত: ২০/০৫/২০১৭ ৭:৫৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৫৪ পিএম

নিউজ ডেস্ক: সৈকত শহর কক্সবাজারে পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে সাড়ে চারশো’র বেশি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন না করায় ময়লা-আবর্জনা মিশছে সাগরের পানিতে।

এমনকি সমুদ্রতট থেকে সৈকতের ৫’শ মিটার পর্যন্ত ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এলাকা ঘোষণার পরও গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। এ অবস্থায় কক্সবাজারের সবগুলো হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের শহর এখন পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। কলাতলী থেকে লাবনী হয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট। রাস্তার দু’পাশে শুধু হোটেল আর হোটেল। কোথাও খালি জায়গা নেই বললেই চলে।

বর্তমানে সাড়ে চারশ’র বেশি হোটেল রয়েছে। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, ৪০ থেকে ৫০টি হোটেল ছাড়পত্র নিয়ে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। বাকিগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। আর এখন পর্যন্ত কোনো হোটেল সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন না করায় সব ধরণের ময়লা-আবর্জনা গিয়ে মিশছে সাগরের পানিতে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের (চট্টগ্রাম বিভাগ) পরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, ‘তাদেরকে আমরা শর্তসাপেক্ষে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছিলাম। যাদের বলা হয়েছিলো যে, ৬ মাসের মধ্যে এসটিপি করবে কিন্তু করা হয়নি। ফলে আমরা সবগুলোকেই আমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’

প্রতি বছরই ১০ লাখের বেশি পর্যটক বিনোদনের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার যায়। পর্যটকদের সুবিধার্থে গড়ে উঠছে বিভিন্ন তারকা মানের সব হোটেল। কিন্তু হোটেল নির্মাণের শুরুতে বাধা না দিলেও এ অবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরণের কঠোর অবস্থানকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

তাদের কারো কারো মতে, যখন হোটেল শুরু করেছন তখন এই এসটিপি প্লান সম্পর্কে জানতেনই না। আর হোটেল শুরু করার এক দুই বছর পর এসে এগুলো বললে এটা করা অনেক কঠিন বলেও মনে করেন তারা।

সুয়েরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন না করার পাশাপাশি সৈকত দখলকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে মো. মাসুদ করিম বলেন, ‘এসটিপি না থাকা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার কারণে আমরা তাদের নোটিশ করেছি এবং তাদের কাছ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। আর তাদের এসটিপি স্থাপনে বাধ্য করা হবে।’

ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ২শ ৬১টি হোটেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বাকি হোটেল মালিকদেরও পর্যায়ক্রমে নোটিশ দেয়া হবে অভিযোগের শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...